January 3, 2025, 8:25 pm
পরেশ দেবনাথঃ কেশবপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গা পূজা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রোববার (১৩ অক্টোবর-২৪) ৮৯ টি পুজা মন্ডপে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর শণিবার দর্পন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা। রোববার ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে রাত পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মন্দিরে মন্দিরে ছিল রাজনৈতিক, উপজেলা দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং কমিটি ও প্রশাসনিক পূর্ণ সহযোগিতা।
রোববার (১৩ অক্টোবর-২৪) রাতে কেশবপুরের সকল পূজা মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হলেও শণিবার কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। মন্ডপ গুলোর বাইরে গেইট, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিল। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানান, এবার উপজেলায় ৮৯ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে নাই, গতবছর এ ইউনিয়নে ১টি মন্দিরে পূজা হয়েছিল, ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১২ টি, ৩নং মজিদপুর ইউনিয়নে ৫টি, ৪নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৩টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৫টি, ৬নং সদর ইউনিয়নে ৭টি, ৭নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৯টি, ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়নে ১১টি, ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১১টি, ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২টি, ১১নং হাসানপুর ইউনিয়নে ৭টি ও কেশবপুর পৌরসভায় ৭টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, গত বছর এই উপজেলায় ৯৩ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়েছিল। কেশবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা অনুযায়ী গতবছরের তুলনায় এবার অতি জলাবদ্ধতার কারণে ০৪ টি মন্দিরে প্রতিমা কম হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানান, সরকারী নীতিমালা মেনে পূজা মণ্ডপে পূজার্চনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বড়েঙ্গা-মাগুরখালী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা রাত ১২ টার আগে বিসর্জন দেওয়া হবে বলে কতৃপক্ষ জানান।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর পাঁজিয়া সার্বজনীন কালী মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় রাত সাড়ে ৮ টায়। মন্দির কমিটির আহবায়ক বিকাশ চন্দ্র পাল ও সদস্য সুবোল দেবনাথ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর পাঁজিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের রাত ৯ টার দিকে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানান, মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি, পাঁজিয়া সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ-এর সাধারণ সম্পাদক, জামিরা কলেজের ভূগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক লেখক কবি ও প্রাবন্ধিক তাপস মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর পাঁজিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রভাত হালদার, গোপাল হালদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ ব্যানার্জী, সহ-সভাপতি পাঞ্জেরী, পাবলিকেশন্স লি. ডিভিশনাল ম্যানেজার সুবীর হালদার, সদস্য সমীর চৌধুরী, সুবীর মজুমদার, প্রনব মন্ডল মানব, বাপী হালদার প্রমূখ।