October 23, 2024, 10:33 pm
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, আদালত থেকে ছিনতাই হওয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারে শুরু থেকেই আমরা অনুসরণ করছি। এ ধরনের জঙ্গি অপরাধীরা সাধারণত দেশের ভেতরে খুব কম থাকে। তাই এদের ধরতে কিছুটা সময় লাগে, তবে আমরা কাজ করছি। আশা করছি তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।
বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন এটিইউ প্রধান।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান ভূমিতে তথা লোকালয়ে জঙ্গিরা স্থান পাচ্ছে না, তাই পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
পাহাড়ে জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক উল্লেখ করে এটিইউ প্রধান আরও বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা দেশের প্রধান ভূমিতে জায়গা পাচ্ছে না, বিষয়টি পজিটিভ। প্রধান ভূমিতে জায়গা পাচ্ছে না বলেই তারা পাহাড়ে অবস্থান করছে।
বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে, যেখানে জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য নয়। ওই সব বিস্তীর্ণ এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা পাচ্ছে জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গে আরেকটা সমস্যা হল বাস্তুহারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী। সেখান থেকে কিছু গ্রুপ এসেছে আবার পাহাড়ি কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের স্বার্থের কারণে এই সংগঠনকে সহযোগিতা করছে।
সবকিছু মিলিয়ে পাহাড়ের জঙ্গিদের নিয়ে পরিস্থিতিটা ঘোলাটে। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাব কাজ করছে। এটিইউ গোয়েন্দা তথ্য রাখছে। সেসব জঙ্গি দেশের বাইরে ছিল তারা আবার দেশে এলে কোথায় যাচ্ছে, কি করছে সেসব বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের প্রধান নাথান বম সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে তার বিষয়ে আমরা সবাই কাজ করছি।