October 22, 2024, 8:48 pm

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান

মিরপুর বিআরটিএ মটোরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ এর অপকর্মের শেষ কোথায় !

মোঃ গোলাম রাব্বানীঃ মিরপুর বিআরটিএ ১১১ নম্বর রুমে মালিকানা বদলি শাখায় চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীত। ১১১ নম্বর রুমের দায়িত্বে থাকা মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি মালিকানার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গাড়ির যাচাই পরিদর্শক মালিকের সঠিক তথ্য যাচাই, বাছাই করে সরকারি নিয়ম অনুসারে সঠিক পথ অবলম্বন করা হলো তাহার দায়িত্ব। কিন্তু এই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

তার রুমে ঢুকতেই প্রথম কথা বলতে হয় তারই দেশী বন্ধু পরিচয়ের এক দালাল প্রতারক? তার নাম মো. কবির হোসেনের সাথে। মো. কবির হোসেন অফিসার শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদের পিয়ন হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে সাধারণ মানুষের কাছে। এই পরিচয়ে মো. কবির প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রুম থেকে ! আর ব্যাগ ভারি করতেছে মোটরযান পরিদর্শক মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও রয়েছে মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ এর গোপনীয় কার্যকলাপের হাতিয়ার সহযোগী মো. বনি তার আত্মীয় পরিচয় তারই সাথে প্রতিদিন অফিস করে বলে জানা গেছে।

প্রাইভেট মোটরযান এর মালিকানা বদলি করতে হলে গাড়িটি সরেজমিনের পরিদর্শন করতে হয়। কিন্তু মো. কবির ও মোহাম্মদ বনিকে ১৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই সরেজমিনে গাড়িটি আর পরিদর্শন লাগে না বলেই জানা গেছে।

এছাড়াও গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত ব্যাপারে ক্রেতা, বিক্রেতা সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও তারই সেকশনের বিভিন্ন রুমে ফাইল ঘুরে ঘুরে ও জমা দিতে গেলে সাধারণ মানুষের হয়রানির সীমা নাই। কাগজপত্র ঠিক থাকলো কেন ফাইল জমা হবে না এই সম্পর্কে ১১৪ নম্বর রুমের সরকারি মোটরযান পরিদর্শক এর রাকিবুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে সে বলে মাহতাব স্যার বা এডি স্যারের মার্ক লাগবে । এরপরে আমরা সরেজমিনের তথ্যচিত্রে পাই প্রতি ফাইল জমা টেবিল ঘুষ যার কোন সরকারি রিসিভ নাই।

কোনোটা ৩ ০০০ হাজার টাকা কোনটা ৪০০০ টাকা আবার কোন ফাইল ৫ থেকে ৭০০০ হাজার টাকা, পর্যন্ত টেবিলে ঘুষ না দিলে ফাইলে কাজ বন্ধ থাকে আর টাকা দিলে কাজ খুব দ্রুত হয়ে যায়।
জানতে পারি এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করি যে মালিকানা বদলি করতে আসা ,বরিশাল থেকে চান মিয়া নামক এক লোক। তার গাড়ির মালিকানা বদলি করতে আসে। কার কাছে জানতে চাইলাম আপনার গাড়িটি কোথায় মালিকানা যাচাইয়ের জন্য তো পরিদর্শক দেখাতে হয়। তিনি বলেন, আমার গাড়ি আছে চট্টগ্রাম আদালতে মাধ্যমে র ্যাব — ৭, আটক করেছে প্রায় এক বছর আগে আমি মালিকানা করে নিয়ে যাচ্ছি টাকার মাধ্যমে টাকা দিলে গাড়ি সরজমিনের দেখানো লাগে না বলে জানান।

এভাবেই অপরাধচক্রর বৃদ্ধি হয় অসচেতন মটোরযান পরিদর্শক শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদের লোক দ্বারা। শেখ মাহতাব উদ্দিনের রুমে একটি চক্র সারাদিন যাবত বসে থাকে তাদের কাজই হলো এই রুমে কাজের জন্য কোন মানুষ আসলে পরিদর্শক এর সাথে কথা বলার আগেই লেনদেন হয়ে যায় তারই সহযোগী মো. কবির গংদের সাথে। প্রায় চার মাস পূর্বে একটি গাড়ির শোরুমে একটি ফাইল মালিকানা বদলির জন্য রুমে থাকা ফাইলটি মো. কবির তার ঘরে রাখে উক্ত ফাইলটি। পরে ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর কাছে দাবি করে। সেই ফাইলটি টাকার বিনিময়ে তার ঘর থেকে বের করে আনে। উক্ত স্লিপে যদিও ইঞ্জিন পরিবর্তন ও রং পরিবর্তন মালিকানা বদলির সাথে দেখা যায় কিন্তু জমা রশি থাকা সত্ত্বেও রং পরিবর্তন এবং মালিকানা এবং ইঞ্জিন পরিবর্তন ঘুমের ভিতর রং ও ইঞ্জিন, এর কাজ না হয়েই মালিকানা এর নাম পরিবর্তন হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই গাড়ির মালিকানা বদলির জন্য যখন আবেদন করা হয় ! দেখা যায় উক্ত স্লিপের রং , ও ইঞ্জিন পরিবর্তন নাই শুধুই মালিকের নাম পরিবর্তনের ডাটা আসে। অফিসে সংশ্লিষ্ট কর্মরত, বার বার রুমে যাওয়া সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে দেখা যায় সাধারণ মানুষ একের পর এক চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ এই মালিকানা সেকশনের নিয়ন্ত্রণ রক্ষক শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদ , এর নিজস্ব লোক পরিচয় থাকা তারই ছত্রছায়ায় সকল অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা কবির গংরা । তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকারি অফিসে বসে সরকারি অফিসার, একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার চরিত্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি।
পর্ব — ১ চলবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন