October 22, 2024, 8:49 pm
মনির হোসেন জীবনঃ শফিকুল ইসলাম : রাজধানীর কদমতলীর জুরাইনে মাদবর বাজার এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন মো. আতাহার আলী (৩৫), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে আফসানা (৫)। এছাড়া মুক্তার বাবা মো. আলতাফ সিকদার (৭২) ও তার মা মোছা. মর্জিনা বেগম (৫০)। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার কচুয়া ইউনিয়নে দগ্ধ আলতাফ সিকদারের গ্রামের বাড়ি।হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি দু’জনকে হাসপাতালের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
আজ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া একই পরিবারের ৫ জন অগ্নিদগ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে জুরাইন সর্দার ওরফে মাদবর বাজার এলাকায় সলিমুল্লাহ রোডে মান্নান মাস্টারের ৪তলা বাড়ির নিচতলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ মর্জিনার ভাই মো. মাহবুব হোসেন জানান, জুরাইন সর্দার বাজার সলিমুল্লাহ রোডে মান্নান মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকে তারা । রাত ২ টার দিকে রান্না করার জন্য দেশলাইয়ের কাঠি ধরাতেই বিস্ফোরণ হয়ে গোটা রুমে আগুন ধরে যায়। ওই বাসায় তিতাস লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মাহবুব ও প্রতিবেশীরা জানান, ভগ্নিপতি আলতাফ সিকদার হকারি ব্যবসা করেন। ওই বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে, সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালের খাবার মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। হয়তো নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ভাগনী মুক্তা এক সপ্তাহ আগে তার বাবার বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিল।
এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার গভীর রাতে জুরাইন থেকে নারী শিশুসহ দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এদের মধ্যে আতাহার আলীর শরীরে ৫০ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ ও শিশু আফসানার ২৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। এছাড়া মর্জিনার শরীরে ৫ শতাংশ ও আলতাবের শরীরে দুই শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।