October 27, 2024, 6:30 pm
তামান্না আক্তার হাসিঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের জন্য র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভিকটিম ও ভিকটিমের স্বামী তারা নব্য বিবাহিত এবং তারা ঢাকা জেলার সাভার থানার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। ভিকটিম পেশায় একজন গৃহিনী এবং তার স্বামী একজন রেস্টুরেন্ট কর্মী। রেস্টুরেন্টে কাজ করার জন্য গত ১০/১১/২০২১ তারিখে ভিকটিমকে একা বাসায় রেখে তার স্বামী কাজের জন্য রেস্টুরেন্টে যায়। ধর্ষক পেশায় একজন ডিস কর্মচারী। ধর্ষক রাশেদুজ্জামান মুন্না (২৯) গত ১০/১১/২০২১ তারিখ আনুমানিক বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার সময় ডিসের লাইন মেরামতের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বাসায় যায়। তখন ভিকটিম আসামী রাশেদুজ্জামান মুন্নাকে বলে বাড়িতে আর কেউ নেই তাই পরে আসার জন্য বলে। প্রতিউত্তরে রাশেদুজ্জামান মুন্না জানায় তার অল্প কিছুক্ষণের ডিস লাইনের কাজ আছে। এরপর ভিকটিম গোসল করতে গেলে ধৃত আসামি রশেদুজ্জামান মুন্না তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে, রাশেদুজ্জামান মুন্না বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করত তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামী র্যাব-৪ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিধানিক দল অদ্য ২৫/১১/২০২১ ইং তারিখ ০৭:০০ ঘটিকার সময় সাভার থানাধীন তেঁতুলঝোড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষন এর দায়ে মোঃ রাশেদুজ্জামান মুন্না (২৯)’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি রাশেদুজ্জামান মুন্না ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।