October 23, 2024, 10:28 pm
মনির হোসেন জীবনঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি সোনাসহ এক দম্পতিকে আটক করেছে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আটককৃতরা হলেন, ফারুক (৫২) ও রাণী আক্তার। এপিএন পুলিশ বলছে, জব্দকৃত সোনার মধ্যে সোনার চুড়ি ৬৯ পিস,সোনার চেইন, কানের দুল, ব্যাসলেট, আংটি, হার, জুয়েলারি অলংকার ও চে্নি রয়েছে। যার ওজন হল ১ কেজি ৫৯৭ গ্রাম। সর্ব মোট যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ টাকা।
আজ সোমবার রাতে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক সোনা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ ভোরে এপিবিএন এবং এনএস আই এর যৌথ আভিযানিক দল বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিং এলাকায় অভিযুক্তদের সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। এসময় ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং এনএসআই এর সদস্যরা তাদের আটক করে। এপিবিএন ও এনএসআই এর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের সামনে আসামী ফারুক তার পরিহত প্যান্টের ডান ও বাম পকেট থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো সোনার চেইন ৬ পিচ, চুড়ি ৯ পিস, হার ২ পিস মোট ৭৯৬ গ্রাম সোনার অলংকার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪ হাজার ৮শ টাকা।
জিয়াউল হক আরও জানান, অপর আসামী রাণী আক্তারের হাতে থাকা একটি লেডিস ব্যাগের ভেতর থেকে সাদা টিস্যু দ্বারা মোড়ানো সোনার চুড়ি ৬০ পিস, সোনার আংটি ৯ পিস, কানের দুল ৫পিস, ব্যাসলেট ১পিস, গলার হার ৫পিস, লকেট ৪ পিস, চে্নি ৩পিস পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ৮০১ গ্রাম। আর বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৮শ টাকা। আসামীদের কাছে সোনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সোনা চোরাচালান দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা সোনা চোরাচালান করে আসছিল । এছাড়া সোনাগুলো তারা জনৈক এমদাদ নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে গ্রহন করেছেন। এছাড়া এই সোনাগুলো একজন সৌদি প্রবাসী সোলাইমান, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন। এরপর এই স্বর্ণ গুলো এমদাদের কাছে আসে আর এমদাদ আসামীদের কাছে দিয়েছেন। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।