December 23, 2024, 11:59 am
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরে ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির অন্যতম মূলহোতা মিতুকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে র্যাব-১।
রোববার দুপুরে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (অপস্ এন্ড মিডিয়া অফিসার) মো.মাহফুজুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, গত ৬ জুন বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের সেলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার ৩ নম্বর গেটের সামনে ভুয়া র্যাব পরিচয়ে কারখানার ৩ জন কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ ও জিম্মি করে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও ট্রাক ভাড়ার ১৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে। পরে সেই ঘটনায় কারখানা কর্তৃকপক্ষ বাদী হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন। যা এলাকা জুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল ৬ জুলাই রাতের ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর আভিযানিক দল সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটির অন্যতম প্রধান আসামী দুর্ধর্ষ মহিলা সদস্য মিতুকে গ্রেফতার করেছে।
যেভাবে ছিনতাই করে মিতু চক্র:
গ্রেফতারের পর মিতুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, মিতু ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী মো. রুবেল ইসলামের পূর্বপরিচিত। রুবেলের মাধ্যমেই এই মিতু ডাকাতির সাথে জড়িয়ে পরে। কাস্টমার সেজে সে ব্যাংকের ভেতর নজর রাখতো কারা ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা তুলছে এবং তুলনামূলকভাবে সহজ টার্গেট কারা। এভাবে যাচাই-বাছাই করে ব্যাংকের ভেতর থেকেই মিতু টার্গেট মার্ক করত এবং টার্গেট কনফার্ম করে দলের অন্যান্য সদস্যদের ফোন করে বা মেসেজ করে জানাত। পরবর্তীতে টার্গেট ব্যাংক থেকে টাকাসহ বের হলে মিতু ঐ টার্গেট ব্যক্তিকে ফলো করে বাইরে আসতো এরা ইশারার মাধ্যমে বাইরে লুক আউটম্যানকে টার্গেট দেখিয়ে দিত। অত্যন্ত ধূর্ত এই মিতু টার্গেটের কথাবার্তা মনোযোগ দিয়ে শুনতো এবং টার্গেটের রুট প্ল্যান বোঝার চেষ্টা করত। মূলত মিতুর কাজ ছিল ডাকাতের দলের বাকি সদস্যদের কাছে টার্গেটকে মার্ক করে দেয়া এবং টার্গেটের সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব তথ্য সরবরাহ করা।
উল্লেখ্য, এই ডাকাতির ঘটনায় এর আগে গত ১২ জুন আরেকটি অভিযানে র্যাব-১ এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বহুলভাবে প্রচারিত হয়।
গ্রেফতারকৃত মিতু দীর্ঘদিন যাবত এ সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এই ডাকাতির সাথে এবং সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটির সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাত মিতুকে থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।