October 26, 2024, 2:28 am
তামান্না আক্তার হাসিঃ রাজধানীর উত্তরা ১৬ নাম্বার সেক্টর অবস্থিত উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের এপার্টমেন্ট প্রকল্প সংলগ্ন বউ বাজার এলাকায় অস্থায়ী একটি কাঁচা বাজার রয়েছে। বাজারটি পরিচালনা করেন স্থানীয় দোকানদার নিজেরাই।
(৫ই এপ্রিল) রোজ শুক্রবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে ১৬ নম্বর সেক্টর উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের এপার্টমেন্ট প্রকল্প সংলগ্ন কাঁচা বাজারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তারা বলেন,এই বাজারের কারণে আমাদের ছেলে সন্তানকে নিয়ে আমরা দুই বেলা দুমুঠো খাবার খেতে পারি, আমাদের এখান থেকে কেউ ‘চাঁদা তোলে না,আমরা কাউকে কোনরকম চাঁদা দেই না’ কিন্তু একটি কুচক্রি মহল আমাদের এই অস্থায়ী বাজারকে ঘিরে একটি ষড়যন্ত্র ওঅপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে । আমরা সকল ব্যবসায়িরা এই ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই, সরকারের যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমরা এই অস্থায়ী বাজার ভেঙ্গে অন্য জায়গায় বাজার হস্তান্তর করব।
এই সময় ব্যাবসায়ীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন,রফিকুল ইসলাম রুস্তম, বেল্লাল হোসেন,কবির, মহিউদ্দিন, ব্যাবসায়ীদের দাবী তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যাবসা পরিচালনা করেন এখানে কোন বাজার কমিটি নেই, কাউকে চাঁদা দিতে হয়না,তারা কোনমতে ব্যবসাকরে সংসার পরিচালনা করে হয়, তারা সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়ে বলেন,রাজউকের যখনি প্রয়োজন হবে আমরা নিজদায়িত্বে সরে যাবো,তারা এ-ও দাবি করেন আমরা যেন কোন হয়রানি বা অপপ্রচারের স্বীকার নাহই আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি,
তৃতীয় প্রকল্পের এপার্টমেন্ট বিল্ডিং করবি ভবনের তিনবারের সভাপতি স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ মোশাররফ হোসেন রানা বলেন,আমি ২০১৯ সাল থেকে এখানে আছি আমাদের কয়েকশ পরিবার এখানে বসবাস করছি কিন্তুু প্রকল্পের বিতরে স্হায়ী কোন মার্কেট কাঁচাবাজার এখনো হয়নি আমরা অনেক কস্ট করি,প্রকল্পের বাহিরে একটি অস্থায়ী কাঁচাবাজার হয়েছে এতে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি কিন্তুু কিছু পর পর রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে, তারা করতেই পারে তবে আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের স্হায়ী বাজার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত যেন এই বাজারটি থাকে তাহলে এখানে বসবাসরত সকলে উপকৃত হবো, প্রকল্পের স্হায়ী বাসিন্দা মোঃ আবু হায়াত আলি বলেন তৃতীয় প্রকল্প সংলগ্ন যে অস্থায়ী বাজারটি গড়ে উঠেছে বাজারটির কারণে আমাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে কারণ, আমাদের এই তৃতীয় প্রকল্পের মধ্যে এখনো কোনো মার্কেট চালু হয়নি তাই এই অস্থায়ী বাজারের কারণে আমাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে,এবং রাতের বেলায় চুরি চিন্তাই কমেছে মারা নির্বগ্নে চলাফেরা করছি,আগে এদিকে ছিন্তাই ডাকাতি হতো এখন কমে হচ্ছে প্রশাসনের পাশাপাশি বাজারে লোকজনের যাতায়াতের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি, তাই আমাদের এখানকার সকল বাসিন্দারা চায় যতদিন পর্যন্ত আমাদের স্থায়ী কোন মার্কেট না হবে ততদিন পর্যন্ত অস্থায়ী বাজারটি চালু থাকুক।