October 24, 2024, 2:18 pm

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন

মিরপুরের শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা আটক

মনির হোসেন জীবন- রাজধানী মিরপুর থেকে তালিকাভুক্ত এক শীর্ষ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতের নাম মুক্তা বেগম (৪০)। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।

আজ সোমবার ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ১০ নং সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মিরপুর মডেল থানা পুলিশ জানান, বিউটি পার্লারে সেজে ছিনতাই করেন মুক্তা। কেউ যাতে তাকে চিনতে না পারে সে জন্য সে ছিনতাইয়ের আগে পার্লারে গিয়ে সেজেগোজ করে কাজে নামতো। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের মোবাইল ও ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোক এসে তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্হু পৌছে মুক্তা বেগমকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানান, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। গ্রেফতার মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার গ্রেফতারও হন। তিনি প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সাথে থেকেই টুকটাক চুরি শেখে চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পরলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সাথে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। বিউটি পার্লারের সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না তাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুক্তা বেগম বেশ কিছু দিন যাবত মিরপুর এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় ছিনতাই করে যাচ্ছিল মুক্তা বেগম। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন