December 22, 2024, 10:57 pm
মোহাম্মদ জামশেদঃ- হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির ও দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক মরহুম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক বলে দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার ও মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ হেফাজত নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচীতে যাবে হেফাজতে ইসলাম।
২৩শে ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসার মিলনায়তনে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার, আলেম-উলামা ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আবছার আল আজহারী।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন আল্লামা আহমদ শফি’র মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি যে, আল্লামা শাহ আহমদ শফি’র স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে নির্জলা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। হযরতের ইন্তিকালের তিন মাস পর ঐ কুচক্রি মহল তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে একটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করে। দায়ের কৃত মামলাটি ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং দেশের স্থিতিশীল অবস্থা বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি বলে আমরা মনে করছি।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন আল্লামা শফীকে জিম্মি করে আনাস মাদানী’সহ তার দোসররা ছাত্রদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাতো। ছাত্ররা অসহ্য হয়ে মাদ্রাসায় আন্দোলন করে হটিয়েছে। হুজুরের মৃত্যুর সাথে হেফাজতের নেতৃবৃন্দ ও মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্ররা কোন ভাবে জড়িত নয়, হযরতের মৃত্যুটি স্বাভাবিক ছিল।
একটি চিহ্নিত দালালগোষ্ঠী আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে জিম্মি করে হাটহাজারী মাদরাসায় ব্যক্তিতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল। সেখানে নানা অনিয়ম এবং ছাত্রদের ওপর অব্যাহত হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল। এছাড়া বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষককে মাদরাসা থেকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করে বের করে দেয়া হয়েছিল, যা ছিল অত্যন্ত অবমাননাকর। তাদের অনিয়ম ও ক্রমাগত হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এবং বিবরণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত নয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সম্পূর্ণ মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। মিথ্যা বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, আল্লামা নোমান ফয়জী, আল্লামা তাজুল ইসলাম, আল্লামা মোহাম্মদ শোয়াইব, আল্লামা মুফতী কেফায়েতুল্লাহ, আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দীন, আল্লামা লোকমান হাকিম, আল্লামা কবির আহমদ, আল্লামা হাবিবুল্লাহ আজাদি, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, আল্লামা দিদার কাসেমী, মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, আল্লামা আশরাফ আলী নেজামপুরী, আল্লামা ফোরকান আহমদ, আল্লামা ওমর কাসেমী, আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, আল্লামা আতাউল্লাহ কৈয়গ্রাম. মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, জনাব মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ, মাওলানা শফিউল আলম, মাওঃ ড. নুরুল আবসার আজহারী, মাওঃ আনোয়ার শাহ আজহারী মাওঃ হারুন আজিজ নদভী, মাওলানা মুফতী আবু সাইদ, মাওলানা মুফতী রাশেদ, মাওঃ মুফতী আব্দুল্লাহ নাজিব, মাওলানা মোহাম্মদ বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুস সবুর জনাব মাস্টার মোঃ রফিক, জনাব নূর মুহাম্মদ প্রমূখ।