December 23, 2024, 2:29 am

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে:উত্তরা পূর্ব থানা কর্মিসভায় আমিনুল হক পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাই কর্তৃক জলিল হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাগর (২০) কে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ ও র‍্যাব-৭ লাখো মুসল্লির অশ্রু সজল নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের ইজতেমা কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ICAO CAA Approval of Training Organizations (ATO) Course এর সমাপনী অনুষ্ঠিত খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত ঢাকায় ১৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে দাওয়াতে ইসলামীর ইজতিমা উত্তরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত দক্ষিনখানে রাজউকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করছে মধ্য আজিমপুরের ইসলাম বোখারী রোডে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

ব্যবসয়ী এম শরীফ উদ্দিনের নামে মিথ্যা মামল প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

তামান্না আক্তারঃ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী এম শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে পরিবার ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উত্তরা প্রেস ক্লাবে এম শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী আখি শরীফসহ তার পরিবারের কয়েকজন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা উপস্থিত থেকে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চেয়ে তার মুক্তি দাবি করেন।

এসময় এম শরীফুর উদ্দিনের স্ত্রী আখী শরীফ বলেন, আমার স্বামী কখনই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলোনা। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যণ সমিতিতে মেজর অব: আনিছুর রহমানের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলো। তার পর থেকেই এই আনিছুর রহমান আমাদের পিছনে লাগে। আনিছুর রহমান ও তার দোসররা মিলে কৌশলে এম শরীফর উদ্দিনের নাম মিথ্যা হত্যা মামলা জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। গত কিছু দিন আগে যৌথ বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে জেলখানায় আছে।

তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পানি, খাবার, সেলাইন দিয়ে অনেক ভাবে সহযোগীতা করেছেন এমন প্রমাণ আমার কাছে অনেক আছে। আমি আমার স্বামী নামে দেওয়া মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারসহ দ্রুত মুক্তি চাই।
এম শরীফ উদ্দিনের ভাতিজি উর্মি বলেন, আমরা মামলার বাদির সাথে কথা বলেছি। তারা বলে আমরা শরীফ উদ্দিন নামে কাউকে চিনিনা। আমাদের মামলার আসামী ছিলো ১৬ জন পরে শুনি ২ শত এর অধিক মানুষকে আসামী করা হয়েছে। কে বা কারা এসব নাম মামলয় যুক্ত করেছে তার কিছুই আমরা জানিনা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫০ জন ছাত্র উপস্থিত থেকে শরিফ উদ্দিনের আন্দোলনে থাকার ব্যপারে সাক্ষ্য দেয়। তাদের পক্ষ থেকে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, আমার বাসা এম শরীফর উদ্দিনের আষ্কেলের বাসার পাশেই। যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় তখন আষ্কেল আমাকে আন্দোলন করার পরামর্শদেন এবং আমাকে বলে তাদের যখন যা লাগবে আমাকে বললে আমি ব্যবস্থা করে দিবো। আজমপুর থেকে এপিবিএন পর্যন্ত আমরা যারা ছিলাম তাদের খাবার, পানিসহ বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন তিনি। আজকে দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, যাদের নিয়ে আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছি তারাই আজ মিথ্যা মামলায় জেলে। এমন দেশতো আমরা চাইনি।
উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে ৫ আগস্টে আমি গুলিবিদ্ধ হই।

আমাকে হাসপাতালে নেওয়াসহ চিকিৎসা বাবদ অনেক সহযোগীতা করেছেন এম শরীফ উদ্দিন। আর এখন শুনি তিনিই নাকি হত্যা মামলার আসামী। মামলা থেকে শরীফ উদ্দিনের নাম প্রত্যাহার করে দ্রুম মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এসময় শরিফ উদ্দিনের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন