October 22, 2024, 11:25 am

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান প্রতি হিংসার শিকার বিএনপি নেতা কবির চৌধুরী  সংবাদ সংগ্রহ করতে হেনস্তার স্বীকার এশিয়ান টিভির স্টাপ রিপোর্টার ফরিদ আহমেদ নয়ন থানায় অভিযোগ

পুনাঙ্গঁ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজন

বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড হলো একটি স্বশাসিত শিক্ষা বোর্ড, যারা বাংলাদেশে পালি এবং সংস্কৃত শিক্ষা প্রানকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। এটি ঢাকার কামলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে অবস্থিত। বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড ১৯১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বঙ্গীয় সংস্কৃত সমিতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে বঙ্গীয় সংস্কৃত সমিতি তিনটি পৃথক শাখায় বিভক্ত হয়ে আসামের জন্য আসাম সংস্কৃত সভা গঠন করা হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্থানের জন্য পূর্ব পাকিস্তান সংস্কৃত সভা এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা সমিতি গঠিত হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান সংস্কৃত সভার নাম পরিবর্তন করে ১৯৬২ সনের East Pakistan Sanskrit and Pali Education board, Dacca Rules and Regulation ১৯৬২ এর ক্ষমতা বলে পুর্ব পাকিস্তান সংস্কৃত অ্যান্ড পালি শিক্ষা বোর্ড গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৯ বছর ধরে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষকরা নামমাত্র বেতনে কাজ করার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদেরকে। তবুও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বিশেষায়িত এই শিক্ষার আধুনিকায়ন জরুরি। বিভিন্ন সময় সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড থেকে সরকারের কাছে এই শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। অথচ এই শিক্ষাকে মূলধারায় নিতে একমত বিশ্বব্যিালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ১৯৯৬ সালে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা আধুনিকায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশও করেছিল ইউজিসি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।

১৯৭৭ সালের আগে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জাতীয় বেতন কাঠামোর আওতায় শিক্ষকরা মাসে বেতন পেতেন ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর কর্মচারীরা বেতন পেতেন মাসে ৬০ টাকা। ১৯৭৭ সালে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক কারণে এই বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর চলতে থাকে অবহেলা। সবশেষ ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের আগে সংস্কৃত কলেজ শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে ১৭৯ টাকা ৪০ পয়সা ও কর্মচারীদের বেতন ৭৮ টাকা করা হয়। প্রাচীন শিক্ষার ঐতিহ্য ধরে রাখা ও সামান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন মেটানোর প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ৪০ বছরের অবহেলা সঙ্গী করে সংস্কৃত কলেজ টিকে আছে। আদর্শগত কারণ ও ঐতিহ্য ধরে রাখার তাগিদে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানগুলো চালাচ্ছেন। ১৯৭৩ সালে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষকদের জাতীয় বেতন কাঠামোর আওতায় আনেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসা সরকার রাজনৈতিক আদর্শের কারণে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা কলেজকে বেতন কাঠামোর বাইরে ঠেলে দেয়। কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রেখেছেন নিবেদিত একদল মানুষ। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেল নির্ধারণ হওয়ার আগে কলেজের অধ্যক্ষরে ৫ হাজার টাকা, অধ্যাপকদের ৪ হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের ২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় সরকারের কাছে। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে একটি বেতন কাঠামো তৈরি করে বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান। ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মাউশির পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তাবিত কাঠামোতে অধ্যক্ষের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ২৯ হাজার টাকা, আর অধ্যাপকদের বেতন ধরা হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।

২০১৫ সনের ব্যানবেইজের তথ্য মোতাবেক এই বোর্ডের অধীনে ১২৬টি সংস্কৃত ও ৯৩টি পালি কলেজ রয়েছে। সংস্কৃত কলেজ সমুহে ৩ বছর মেয়াদী সংস্কৃত কাব্য (সাহিত্য), কলাপ ব্যকরণ, আর্য়ুবেদ, বেদান্ত, পুরাণ, পুরোহিত্য (যজ্ঞানুষ্ঠান), জ্যোতিষ শাস্ত্র ও স্মৃতিশাস্ত্র বিভাগ পড়ানো হয় । লঘু (ব্যাকরণ), মুগডাবোধ (ব্যাকরণ), সরস্বত (ব্যাকরণ), সুপদ্মা (ব্যাকরণ), সাংখ্যযোগ, ন্যায়শাস্ত্র, মিমাংসা বিভাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী একই সাথে তিনটি পৃথক পৃথক ধাপে তিনটি পৃথক পৃথক বিভাগে অধ্যায়ন কতে পারবে। র্আৎ একজন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষে কাব্য বিভাগে আদ্য পাশ করার পর ২য় বর্ষে মধ্য শ্রেণিতে কাব্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ১ম বর্ষে পৌরহিত্য বিভাগে আদ্য শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। ৩য় বর্ষে উপাধি শ্রেণিতে কাব্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ২য় বর্ষে পৌরহিত্য বিভাগে মধ্য শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে এবং ১ম বর্ষে বেদান্ত বিভাগে আদ্য শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। আবার ৩য় বর্ষে উপাধি শ্রেণিতে পৌরহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ২য় বর্ষে বেদান্ত বিভাগে মধ্য শ্রেণিতে এবং ১ম বর্ষে স্মৃতিশাস্ত্র বিভাগে আদ্য শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। এভাবে একজন শিক্ষার্থী ৩বছর শেষে ১টি বিভাগে তীর্থ, ৪বছর শেষে ২টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ দ্বিতীর্থ, ৫বছর শেষে ৩টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ ত্রিতীর্থ, ৬বছর শেষে ৪টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ চতুরতীর্থ, ৭বছর শেষে ৫টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ পঞ্চতীর্থ, ৮বছর শেষে ৬টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ ষড়তীর্থ, ৯বছর শেষে ৭টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ সপ্ততীর্থ, ১০বছর শেষে ৮টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ অষ্টতীর্থ, ১১বছর শেষে ৯টি বিভাগে তীর্থ অর্থাৎ নবতীর্থ সম্পন্ন করা যাবে। একজন শিক্ষার্থী এস,এস,সি পাশের পর ১৭বছরে ১৫টি বিভাগে উপাধি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে। আদ্য ও মধ্য উভয় পরীক্ষায় ২টি পত্রে ২০০ নম্বর এবং উপাধি পরীক্ষায় ৪টি পত্রে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড়া অনেক দেশেই বৈদিক অর্থনীতি, হিন্দু স্টাডিজ, প্রাকৃত ভাষা, প্রাচীন রাজশাস্ত্র, শুল্ক যর্জুবেদ (মধ্যদিনা সংহিতা, কন্ব সংহিতা), ধর্মশাস্ত্র, জ্যোতিষ (ফলিত, সিদ্ধান্ত), বাস্ত্রশাস্ত্র (স্থাপত্যবেদ), ঋগ্বেদ, কৃষ্ণ যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ, বেদ নিরুক্ত প্রক্রিয়া, বৈদিক গনিত। স্মৃতিশাস্ত্র (নব্য হিন্দু আইন / ন্যায়শাস্ত্র), প্রাচীন স্মৃতিশাস্ত্র (প্রাচীন হিন্দু আইন / ন্যায়শাস্ত্র), অদ্বৈত বেদান্ত (শঙ্কর বেদান্ত), বিশিষ্টাদ্বৈত বেদান্ত (রামানুজ বেদান্ত), অচিন্ত্য দ্বৈতাদ্বৈত বেদান্ত, ভক্তিবেদান্ত, সাংখ্যযোগ, পুর্ব মীমাংসা, মাধ্য বেদান্ত, সর্ব দর্শন, জৈন দর্শন, নিম্বার্ক বেদান্ত, ভক্তিশাস্ত্র, যোগ ব্যায়াম ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা, বৈদিক যোগ ব্যায়াম, আগম, গৌড়ীয় বেদান্ত, শুদ্ধাদ্বৈত ব্রহ্মবাদ বেদান্ত (বল্লভ বেদান্ত), রামানন্দ বেদান্ত, শক্তি বিশেষাদ্বৈত বেদান্ত, বৈদিকদর্শন, কৌটিল্যনীতি, তুলনামূলক দর্শন, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, বৈদিক সঙ্গীত (গন্ধর্ববেদ), চারু ও কারুকলা (গন্ধর্ববেদ), নৃত্য (গন্ধর্ববেদ), কীর্তণ, বৈষ্ণব সঙ্গীত বিষয়ও পড়ানো হয়। এ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরে নামের পুর্বে স্নাতক ডিগ্রিধারী ক্ষেত্রে শাস্ত্রবিদ/ শাস্ত্রী, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আচার্য, এমফিল ডিগ্রিধারীদের তত্ত্বাচার্য / বিশিষ্টাচার্য, পিএইডডি ডিগ্রিধারীদের বিদ্যাবারিধি পদবী যুক্ত হয়। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সংস্কৃততে তীর্থ ও পালিতে বিশারদ পাশকৃতদের স্নাতক বা সমমান মর্যাদা পাওয়ার ব্যাপারে দাবী জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি বোর্ডের আধুনিকায়ন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের ন্যায় ৪টি স্তরে বিভক্ত করতে হবে, স্তরগুলো হলো প্রাথমিক (১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি) ও নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি) যা আদ্য প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত পাবে, মাধ্যমিক (৯ম শ্রেণি ও ১০ম শ্রেণি) যা মধ্য প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত পাবে, উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) যা উচ্চমধ্য প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত পাবে, এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি বোর্ডের পরিবর্তে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ বৈদিক বিশ্বব্যিালয় বা বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে যা যথাক্রমে উপাধি ও উপাধিত্তর প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত পাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে পরিচালিত ১২৯টি সংস্কৃত ও ৯৩টি পালি কলেজে ১ম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে । এছাড়া বোর্ডের অধীনে নতুন স্থাপনকৃত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর নামে ২টি স্তরে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে অর্থাৎ প্রাথমিক স্তর প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে স্থাপন করতে হবে, মাধ্যমিক স্তর নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত এই সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিটি উপজেলায় স্থাপন করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে স্নাতক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান থাকবে।

বর্তমানে ১টি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলেরও নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট, ওয়েভসাইড ও ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড হলো ১টি স্বশাসিত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একজন উপসচিব অত্র প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসাবে মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। সেখানে অত্র বোর্ডের কোন ফেসবুক একাউন্টতো দুরের কথা একটি ওয়েভসাইট পর্যন্ত নেই, যা বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে একটি অন্তরায়। তাই জরুরী ভিত্তিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে কার্যকর ফেসবুক একাউন্টসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট চালু করা প্রয়োজন। এছাড়া অত্র বোর্ডে ১টি কার্যকর ওয়েভসাইট চালু করতে হবে, যেখানে বোর্ডের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম, নিবন্ধন কার্যক্রম, পাঠ্যক্রম, প্রকাশনা, পরীক্ষার ফলাফল, বিভিন্ন প্রবিধান, নীতিমালা, সকল ফরম, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, শিক্ষকদের তথ্য, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য, বোর্ডের ইতিহাস, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, নোটিশ বোর্ড, পরীক্ষার ফরম পূরণ, অনলাইনে তথ্য প্রেরণ, সিটিজেন্স চার্টার, তথ্য প্রাপ্তি বিষয়সমূহ থাকবে এবং বোর্ডের সকল কার্যক্রম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ১টি ইউটিউব চ্যানেলে বোর্ডের পরিচালিত ৩বছর মেয়াদী সংস্কৃত কাব্য (সাহিত্য), কলাপ ব্যকরণ, পুরাণ, আর্য়ুবেদ, বেদান্ত, পুরোহিত্য, জ্যোতিষ শাস্ত্র ও স্মৃতিশাস্ত্র কোর্সের আদ্য, মধ্য ও উপাধি শ্রেণির প্রণীত সিলেবাস অনুসারে সকল শ্রেণি কার্যক্রমের ভিডিও আপলোড করা থাকবে।

প্রকৌশলী রিপন কুমার দাস

ট্রেড ইন্সট্রাক্টর

ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পটুয়াখালী।

ripan.edu48@gmail.com

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন