October 24, 2024, 12:28 am
মনির হোসেন জীবন– নাশকতার মামলায় রাজধানীর লালবাগ থানা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়কসহ ৭ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় পৃথক সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল গতকাল মঙ্গবার দুপুর থেকে শুরু করে রাতভর রাজধানীর মতিঝিল, চকবাজার, লালবাগ, কদমতলী এবং ফরিদপুরের কোতোয়ালী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, লালবাগ থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আরাফাত হোসেন ইমন (২২), ফরিদপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক নাছির উদ্দিন মিলার (৪৮), ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৪৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), ডিএসসিসির (মতিঝিল থানার) ৪৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক শামসুর রহমান ওরফে মিন্টু (৪৮), মিলন (২৩), নাশকতা ও অগ্নি সংযোগকারী মোঃ শাহ আলম (৪৬) ও রাব্বি মোল্লা (২৮)।
আজ বুধবার র্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি/জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর ও ককটেল নিক্ষেপ/দাহ্য পদার্থ দ্বারা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের নারকীয় তান্ডবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে।
র্যাব বলছে, ওই অভিযান ও নাশকতার ঘটনায় ডিএমপি ঢাকার চকবাজার থানার দায়েরকৃত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী হল লালবাগ থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আরাফাত হোসেন ইমন। এছাড়া আসামী মিলনের নামে ১৩ টি, শাহ আলমের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা ও রাব্বি মোল্লার নামে ৫ টি মামলা রয়েছে।
র্যাব সূত্র জানান, এছাড়া এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধ নাশকতা, বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ পেনাল কোড আইনে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী, চকবাজার, কামরাঙ্গীচর, নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার, মুন্সিগঞ্জ ও ফরিদপুরে কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত পৃথক ওই সব মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আাসামী তারা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। এছাড়া ইতোপূর্বে তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, লালবাগ, কামরাঙ্গীচর এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ী ভাংচুর, বাসে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতা মূলক কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট পৃথক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।