October 27, 2024, 2:19 pm
তামান্না আক্তার হাসিঃ এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে ঢাকা জেলাসহ নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সংক্রান্তে কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যাতে দেখা যায় যে, এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অবস্থান নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামি মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। মূলত তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের তাদের সদস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দেরকে আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬/১২/২০২১ তারিখ রাত ২০.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর দারুস সালাম থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করা কালে চাঁদাবাজীর নগদ ১০,৮৫০/- টাকা ও ০২ টি মোবাইল সহ নিন্মোক্ত ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
(ক) মোঃ নুর আলম (৫০), জেলা- শরীয়তপুর(খ) শাহাদৎ সরদার (৪০), জেলা- শরীয়তপুর
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা তাদের উপরে বর্ণিত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। ধৃত আসামীরা আরো জানায় যে, তারা উক্ত এলাকার পেশাদার চাঁদাবাজ। ধৃত আসামীরা সহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আসামী পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ঘটনাস্থলের বিভিন্ন দোকান হতে ২৫০/৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। কেউ চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি ও উক্ত স্থান হতে দোকান উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক চাঁদার টাকা আদায় করে আসছিল। মর্মে ধৃত আসামী স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াসি অভিযান অব্যাহত থাকবে।