October 24, 2024, 4:30 pm
অরুণ দেবনাথ,ডুমুরিয়া,খুলনাঃ খুলনার ডুমুরিয়ায় ওজন পরিমাপে কাঠ বা লোহার মানদণ্ডের পুরোনো দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারায় ঠকছে মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রেতারা, ফলে ওজন ও দাম নিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেনা বিক্রেতারা। তারপরও আড়ৎ এলাকা অপরিছন্ন অবস্থা বিরাজ করছে যাদের দেখার দায়ীত্ব তারা যেন অঘোরে ঘুমিয়ে রয়েছেন এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎদারদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ওজনে কারচুপির জন্য এখনো পুরানো বাটখারা ব্যবহার করছেন। উপজেলার কুলবাড়িয়া মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা মস্তোফা কামাল জানান, আমি চিংড়ি মাছ (গলদা-বাগদা- হরিনা- চামনি) ঘের থেকে মেরে এ আড়তে প্রতিনিয়ত বিক্রি করতে আসি এখানে কাঠের দাঁড়িপাল্লায় ওজন দেয় সেক্ষেত্রে আমার মাছের মাফ ঠিক পাইনা তাছাড়া এ আড়তে যে মাছ ডাকে( দরা দর করে )সে মাছ নেয়, আবার যে পরিমাপে থাকে সেও মাছ নেয়,তার পরও শতকরা তিন টাকা কমিশন এ যেন শুভংকরের ফাঁকি তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল দাড়ির ক্ষেত্রে এককালীন পুঁজি বেশি লাগলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
সঠিক ওজন ও মোট দাম চোখের পলকে জানা যায়। নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন মৎস্য আড়ত মালিক বলেন, মাছ নেওয়ার ঘটনা সত্য কি করবো বলেন, একটা ঘরে ৬/৭ জন ভাগিদার শুধু কমিশনে ৪০/৫০ টাকা করেও হয়না সকাল বেলার ১/২ ঘন্টা একটা কৃষানের দাম ২০০ টাকা যদি না হয় সংসার চালাবো কি করে। মাছ ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, আমি ১ কেজি মাছ কিনে ১শ গ্রাম কম পেয়েছিলাম।
উল্লেখীত বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, যদি শতকরা কমিশন বাদে অন্য কোন পান্থায় যেমন( চুরি) ওজনে কম বা পুরাতন বাটকারা (পড়েন) থাকলে, মাছ আড়ৎ অপরিছন্ন থাকলে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে কমিশন ছাড়াও অতিরিক্ত মাছ নেওয়া অন্যায় এমন অভিযোগ থাকলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেব।