October 25, 2024, 10:24 am
জোবায়েরঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র আভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০,০০০ (আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০১টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকাসহ ০১ জন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে।
৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ কোস্টগার্ড নতুন ক্যাম্প সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি টহলদল বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং অপর একটি টহলদল নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে। আনুমানিক রাত ২৩৪৫ ঘটিকায় নৌ টহলদল মায়ানমার হতে ৩ জন ব্যক্তিকে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোস্টগার্ড নতুন ক্যাম্প সংলগ্ন বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। এসময় বিজিবি নৌ টহলদল বর্ণিত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন নৌকা হতে লাফিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায় এবং অপর জনকে বিজিবি টহলদল চারদিক থেকে ঘেরাও করতঃ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে বিজিবি টহলদল নৌকা তল্লাশি করে নৌকার ইঞ্জিনের পার্শ্বে লুকায়িত অবস্থায় একটি পলিথিনের ব্যাগের ভিতর হতে ৮০,০০০ (আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে শাহাপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ এহসান (১৫) বলে জানায়। পলাতক ব্যক্তিদ্বয়ই জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের মালিক বলে সে স্বীকার করে। পলাতক ব্যক্তিদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আটককৃত এবং পলাতক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটককৃত ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।