October 27, 2024, 4:20 pm
ই এইচ সুমনঃ ঘটনাটির ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টুডিয়াম এর বিপরীত পাশে।
রাস্তায় একা একা আপন মনে হাঁটছেন হঠাৎই চার পাঁচ জন লোকের জটলা, কি হয়েছে দেখতে এগিয়ে গেলেন, এগিয়ে গিয়ে দেখলেন টাকা পাওয়া এবং না পাওয়া নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি, গেম খেলে টাকা পাওয়া এবং না পাওয়ার কথা শুনতে গেলেন তো তাদের জালে জড়িয়ে গেলেন।
এই চক্রটি এবার আপনাকে বলবে কিভাবে এই খেলাটা খেলে এবং কিভাবে টাকা পাওয়া যায় , এই খেলাটি খেলতে একই নামের তিনটি ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করা হয়, যে কার্ড গুলোর একপাশে লেখা থাকে অন্য পাশে থাকে সাদা, তিনটি কার্ড এর মাঝে একটি কার্ড এর মাঝে লাগানো থাকে একটি ছবি, যেই পরিমান টাকা বাজি ধরবেন, এই টাকা হাতে নিয়ে রাখতে হবে ছবি আলা কার্ডের উপর,, যদি সঠিক কার্ড ধরতে পারেন দেয়া হবে ডাবল টাকা, ধরতে না পারলে জমা টাকা খোয়ালেন !
প্রথমে তাদের মধ্যে একজন খেলাটা খেলে টাকা হারিয়ে ফেলবে , আপনি বুঝতেও পারবেন না সেটা যে তাদের লোক, যেই লোকটি খেলাটি খেলে টাকা হারিয়ে ফেলেছে,সেই লোকটি তাদেরই একজন, টাকা হারিয়ে আবার 500 টাকা জিতেও গেল, কিন্তু সেই লোকটির কাছে আর টাকা না থাকাতে সে 500 টাকা নিতে পারবে না জানিয়ে দিল আরেক প্রতারক। এবার ফাঁসানো হবে আপনাকে!
খেলাটি সহজভেবে লোভে পড়ে যাবেন আপনিও,
চার-পাঁচদিন চেষ্টার পর তাদের একজনের সাথে কথা বলতে পারলাম,
নাম জানাতে অনিচ্ছুক এই প্রতারক চক্রের একজন লোক আমাকে জানালো, ভাই কোথায় আছে ? অতি চালাকের গলায় দড়ি !
যারা বেশি চালাক তারাই নাকি তাদের ফাঁদে পা দেয়,,,,
রফিকুল আলম গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল, সাথে ছিল 17-18 হাজার টাকার মতো তাদের ফাঁদে পা দিয়ে টাকা হারিয়েছে ৪৩০০,
অন্য একটি লোক এসে বাঁধা দেওয়া তে সবগুলো টাকা হারাতে হয়নি তার, তবে যে বাধা দিতে এসেছিল তার সাথে খুব বাজে রকম ব্যবহার করে প্রতারক চক্র।
আশেপাশের লোকজনরা জানান এই চক্রটি অনেকদিন যাবত এই প্রতারণার কাজটি করে আসছে, এই স্থান থেকে টঙ্গী পূর্ব থানা খুব কাছেই, টাকা হারানো ব্যক্তি গুলো দূরদূরান্তের মানুষ হওয়ার কারণে, পুলিশকে কিছু জানাতে পারেনা ,,এই সুযোগে প্রতারক চক্রটি হাতিয়ে নেয় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা, নিশ্ব হয় বহু মানুষ,,,,