October 25, 2024, 2:27 pm
দুর্নীতি রিপোর্ট ডেক্সঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করে র্যাব সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০৪ আগষ্ট ২০২৩খ্রিঃ বিকাল অনুমান ১৪.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোঃ দুলাল মিয়া(৩৯) তার ভাই মাসুম মিয়া(২৭) এর মালেকের বাড়ী বাসা থেকে বের হয়। একই তারিখ বিকাল ১৬.২০ ঘটিকায় দুলাল মিয়ার ভাড়া বাসার পাশেই ভাড়াটিয়া খালা রোকসানা(৩০) সংবাদ দেন যে, বাসন থানাধীন দক্ষিণ ভোগড়া এলাকায় সেলিম খানের পরিত্যক্ত জমির উপর তার ভাই ভিকটিম দুলাল মিয়া এর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। ভিকটিমের ভাই মাসুম মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থানে যান এবং লাশটি তার ভাই ভিকটিম দুলাল মিয়া(৩৯) এর সনাক্ত করে। বাসন থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গাজীপুর প্রেরণ করেন। উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
অদ্য ১১ আগস্ট ২৩ইং আনুমানিক ০৪৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এবং র্যাব-১৪ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামী মোঃ ফয়সাল(২১) নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুরী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুরী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত নৃশংস হত্যার মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ ফয়সাল(২১), পিতা-মোঃ ইসরাফিল মিয়া, থানা-কালিয়াজুরী, জেলা-নেত্রকোনা’কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।