October 25, 2024, 12:17 am

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন

কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসা ও গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা সুপারি গাছের সাঁকো

সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়াখালী ইউনিয়নে বলেশ্বর নদীর শাখা দাউরা খালের উপর চারদশক আগে নির্মিত ভাঙ্গাচোরা আয়রন সাঁকোটি কয়েকটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ ৮-১০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ৪ দশকের ও বেশি সময় ধরে এখানে নির্মিত আয়রন সেতুটি ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে পারাপারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লেও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে কোনো তৎপরতা নেই। কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধরা বিপাকে পড়েন পারাপারে।স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে অতি দ্রুত এখানে একটি বেইলি সেতু নির্মান করা হবে।

বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চিংড়ীখালী ইউনিয়নের দাউড়া খাল এর উপর নির্মিত আয়রন সেতুটি দিয়ে কয়েকটি গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের চলাচল হলেও সিডরে ক্ষতিগ্রস্হ এই সেতুটি নির্মান বা সংস্কারে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন। স্হানীয়দের চাঁদার টাকায় সুপারি গাছ দিয়ে কোনোমতে পারাপার উপযোগী করে রেখেছে স্হানীয়রা।তাদের দাবি এখানে একটি দীর্ঘস্হায়ী বেইলি সেতু। জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার জন্য কৌশলে দেখা না করে এড়িয়ে যান।স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আক্কাস আলী বুলুকে কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে খুঁজেও পাওয়া যায়নি।

বর্তমান সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন হলেও চণ্ডিপুর গ্রামের ৬ হাজার মানুষ এবং একপারে থাকা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কোনো সমাধান হয়নি। তাদের প্রত্যেকের দাবি দ্রুত একটি বেইলী ব্রিজ নির্মাণের।

শুধু রশি টানাটানি ও কাগজ চালাচালি ছাড়া একাধিকবার আবেদন করেও একটি কালভার্ট বা ব্রিজের অদ্যবধি সুরাহা হয়নি। প্রতি বছরেই স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের বিকল্প নৌকায় করে পার করতে হয়। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা যায় না। এ সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে ইতিপূর্বে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি জনগুরুত্বপূর্ণ সাঁকোটির স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি টেকশই ব্রিজ নির্মাণের।এ বিষয়ে এলজিইডি বাগেরহাটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃশরীফুজ্জামান জানান,অতিদ্রুত অর্থ সংস্হানের মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মান করা হবে।জনগুরুত্বপূর্ন এই সেতুটি দ্রুত নির্মানের মাধ্যমে স্হানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ সকলের ঝুুঁকিপূর্ন পারাপারের হাত থেকে সকলকে মুক্ত রাখবেন স্হানীয়দের এই দাবী সংশ্লিষ্টদের কাছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন