October 27, 2024, 6:24 pm
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের জন্য র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ০৫/০৭/২০২১ তারিখে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকায় জোরপূর্বক একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা গত ২০/১২/২০২১ তারিখে র্যাব-৪ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল আসামীকে গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে, উক্ত ধর্ষন ঘটনায় ধর্ষক আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকায় অবস্থান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ একটি আভিযানিক দল ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ২২.০৫ ঘটিকার সময় আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিন্মোক্ত ধর্ষক’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।মোঃ চাঁন মিয়া (৩৬), জেলা-টাঙ্গাইল।
ভিকটিমের মাতা এবং স্থানীয় তদন্ত জানা যায়, ভিকটিম আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় তার মায়ের সাথে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করত। ভিকটিমের মা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় একটি খাবার হোটেলে কাজ করত। অনুমানিক ০৫ মাস পূর্বে গত ০৫/০৭/২০২১ ইং তারিখে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে বাসায় রেখে প্রতিদিনের ন্যায় খাবার হোটেলে কাজ করতে চলে যায়। ঐ দিন সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম কাঠের দোকান হতে কাঠের গুড়া আনতে যায়। যাওয়ার পথে ধৃত আসামী মোঃ চাঁন মিয়া ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি রুমে নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং উক্ত বিষয়ে কারো কাছে কিছু না বলার জন্য ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। ভিকটিম বর্তমানে অন্তঃসত্তা হয়ে পরে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।