December 23, 2024, 2:39 am
হাফিজুর রহমন: ৪৩ নং ওয়ার্ড মস্তুল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ বিল্লাল হোসেন ২৯ এপ্রিল
ঢাক উত্তর সিট কর্পোরেশন ৪৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কাঠালদিয়া এলাকার মসজিদ ও মন্দিররের উন্নয়নে আর্থিক সসহযোগিতার হাত বাড়ালেন কাঠালদিয়া নূর জামে মসজিদ,দূর্গা মন্দির ও মা ধামাই মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে স্কুল প্রাঙ্গণে এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এই অর্থ প্রদান করেন। এসময়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জনাব বিল্লাল হোসেন বলেন,অবহেলিত এই কাঠালদিয়ার বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তাঘাট তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃশ্যমান কোনো কর্মকান্ড নেই এই কাঠালদিয়া এলাকায়। লাশ দাফনে এলাকাবাসীর জন্য একটি কবরস্থানও গড়ে ওঠেনি আজও। তিনি বলেন, আর্থিক কারণে এলাকার কারো বিয়ে-শাদীতে প্রতিবন্ধকতা কিংবা কোন শিশুর লেখাপড়া বন্ধ না হয়, সেজন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।এমনকি এলাকাবাসীর সুবিধার্থে কাঠালদিয়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলকে ভোটকেন্দ্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন তিনি।যা কিনা প্রক্রিয়াধীন।তিনি বলেন, এই কাঠালদিয়া এলাকার মানুষ অনেক আন্তরিক।যার ফলে অসহায় ও হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি এলাকার মন্দিরের নিজস্ব জায়গাতেই দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে একাধিক অসহায় হতদরিদ্র পরিবার।
উল্ল্যেখ্য,সাবেক ডুমনি ইউনিয়ন এবং বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪৩নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এই কাঁঠালদিয়া এলাকায় প্রায় ২৩০টি পরিবারের বসবাস। সাবেক স্বরাষ্ট্র, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুন সুপেয় পানি পান করার লক্ষ্যে অবহেলিত এই এলাকাবাসীর জন্য ৫০০০(পাচ হাজার) লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করে দিয়েছিলেন। যার সুফল আজও এলাকার মানুষ ভোগ করছে।রাজধানীর ভাটারা থানার অন্তর্গত এই এলাকার অধিকাংশ পরিবারই সনাতন ধর্মলম্বী।দুইটি মন্দির ও ১টি মসজিদ রয়েছে এখানে।রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।শিক্ষার জন্য রয়েছে একটি সরকারি প্রাইমারী স্কুল। এমতাবস্থায় বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জনাব বিল্লাল হোসেন আগামীতেও কাঠালদিয়াবাসীর কল্যানে কাজ করার লক্ষ্যে জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা এবং দোয়া প্রত্যাশা করেন।