October 27, 2024, 10:21 am

সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণখানে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান খিলক্ষেত কুরাতুলি ট্রাকের বেপরোয়া কান্ডে পুলিশ নিহত  শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা সন্তুষ্ট নয়;সকল অঙ্গ-সঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির

সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইক।

তামান্না আক্তার হাসি ঃ ঢাকা উত্তর সিটির ৪৭, ৪৮, ৩৯, ৫০ নং ওয়ার্ডে দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজি বাইক। প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করার ফলে পাল্লা দিয়ে ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।দক্ষিণখান,আজমপুর,ফয়দাবাদ রোড সহ অনেক আনাচে কানাচে অসংখ্য ইজি বাইক চলার কারণে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

ইজি বাইকের দৌরাত্যে ও চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এর ফলে বড় গাড়ির ড্রাইভারা বিরক্ত বোধ করছে। ইতিমধ্যে ইজিবাইক ড্রাইভারদের বেপরোয়া চালানোর কারণে দূর্ঘটনায় দুজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।

এই দক্ষিণখানে প্রায় ৩৫টি পয়েন্টে ১২ শতাধিক ইজি বাইক চলাচল করছে। এসব ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করতে অধিক বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিং এর কবলে পড়ছে।

অধিকাংশ চোরাই লাইনের মাধ্যমে ব্যাটারী চার্জ করায় এক দিকে যেমন বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। অপর দিকে ঠিক তেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারের ডেস্কো। সবচেয়ে বড় কথা হলো-যেখানে সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।

সেখানে দুষকৃতিকারীরা চোরাই লাইনের মাধ্যমে এসব ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করতেই ব্যস্ত। এতে করে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এসব ইজি বাইকের ক্রয় মূল্য কম থাকায় সহজেই কেনা যায়। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো চালাচ্ছে রিক্সা-ভ্যান চালকেরা। ইজি বাইকের দ্বারা সৃষ্ট যানজটের কারনে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে ৩০ মিনিট এক আশকোনার পথচারি যানান ইজি বাইকের কারনে এয়ারপোর্ট রেল ক্রসিং থেকে আশকোনা বাজার পার হতে অনেক সময় লেগে যায়।

শুধু মাত্র ইজি বাইকের কারনে রিক্সা-ভ্যান চালকরা যেখানে আগে ৪০০/৪৫০টাকা প্রতিদিন আয় করতো সেখানে তারা এখন ২০০/২৫০ টাকা আয় করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। সরকারের কোন প্রকার অনুমোদন/বাধ্যবাধকতা না থাকায় এখন যে কেউ ইজি বাইক চালাতে পারছে। ফলে বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এখন ঝুঁকে পড়েছে ইজি বাইকের দিকে। ইজিবাইক চালক করিম জানান,আগে এ এলাকায় ইজিবাইক কম ছিল।

রাস্তায় তেমন যানজট ছিলনা। প্রতিদিন অনেক টাকা রোজগার হতো। এখন প্রতিটি মোড়ে মোড়ে যানজটে আমাদের রোজগার কমে গেছে। সচেতন ও ট্রাফিকের কিছু মহল ইজি বাইক নিয়ন্ত্রন করে, আবার তারাই যানজট নিরসন ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

পথচারী কলেজ পডুয়া সুমাইয়া জানান, ইজিবাইকের কারনে কলেজে যেতেও অনেক বিলম্ব হয়। আমাদের ছোট্র এ ওয়ার্ড গুলোর আয়তনের তুলনায় অধিক ইজিবাইক হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচলতেও সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ-আনিছুর রহমান [নাঈম] জানান, দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইক। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ড গুলোর আয়তন তো দিন দিন বাড়ছে না।

ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছি দক্ষিণখানের ও হাজী ক্যাম্প থেকে আশকোনার এ রাস্তার দুই ধারে দোকানগুলো তুলে দিলে হয়ত কিছুটা যানজট লাঘব হবে।

আর দক্ষিণখানের কাওলার,হাজীকেম্পের বাইরে কয়েকটি পয়েন্টে নিজস্ব ট্রাফিক দিয়ে ষ্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে এতে করে কিছুটা হলেও যানজট মুক্ত হওয়া সহ পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হবে।

পাশাপাশি রাতের বেলায় অটো,রিক্সা গুলোতে অতিরিক্ত চার্জার লাইট লাগানোর ফলে দৃষ্টি দিতে হিমশিম খেত হয় প্রাইভেটকার ও মিনি বাস ড্রাইভারদের।

চোখ রাখুন দ্বিতীয় পর্বে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এই ইজিবাইক

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন