December 22, 2024, 10:26 pm
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পিলখানা হত্যাকান্ডের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দেয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন। তবে এরপরও দেশের মানুষের যা ক্ষতি যা ক্ষতি করেছে, তা পূরণ হবে না।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় তুরাগ থানী আয়োজিত দলের কর্মী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র সফল হলে রাজধানী হতো দিল্লি। পালিয়ে যাওয়ার পরও আবারও দেশে প্রবেশের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
দেশে প্রবেশ করলে শেখ হাসিনার তৈরি আয়নাঘরেই তাকে রাখা হবে। দেশে আসলেই আসল খেলা শুরু হবে।
নৈতিক সাহস থাকলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতো না। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে নানা আন্দোলন করিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট করেছে শেখ হাসিনা পুত্র জয়৷ লুটপাট করে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।
লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিলো আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের গতি বাড়াতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। নৈরাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে৷
জামায়াত স্বাধীনতার পর থেকে ছায়া সরকারের আদলে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে৷ জনগণ ক্ষমতায় বসালে ৫ বছরে দারিদ্র্য মুক্ত দেশ উপহার দেবে। ৬ মাসের মধ্যে সন্ত্রাস মুক্ত দেশ হবে প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তুরাগ মধ্য থানার আমীর গাজী মনির হোসেন। এ ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
তুরাগ মধ্য থানার নায়েবে আমীর জনাব কামরুল হাসান ও থানা সেক্রেটারি জনাব মুহিবুল্লা বাচ্চুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা মডেল থানা আমীর জনাব ইব্রাহিম খলিল, উত্তরা পশ্চিম আমীর জনাব মাজহারুল ইসলাম, উত্তরা পশ্চিম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক জনাব শাহিদুর রহমান মোল্লা, তুরাগ দক্ষিণ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান, তুরাগ উত্তর থানা আমীর মতিউর রহমান,
আরও উপস্থিত ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক, একরামুল হক, মুজিবুর রহমান, এডভোকেট সুরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ারেস আলী মুরাদ, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ডা কেরামত আলী, মোখলেসুর রহমান আলমগীর, আবু তাহের মিয়াজি, ইন্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসাইন, মাঈনউদ্দিনসহ
সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।