December 23, 2024, 4:34 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলাটি শুনানি শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে। নেদারল্যান্ডের দি হেগের পিস প্যালেস নামে পরিচিত আইসিজেতে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে আলোচিত মামলাটির শুনানি শুরু হয়।
মিয়ানমার বরাবারই রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলাটির কারণে প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশটি।
রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশ বাংলাদেশ। আইসিজেতে মামলায় গাম্বিয়াকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনদিনের শুনানির প্রথম দিনে আইসিজের ১৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেলে অভিযোগ তুলে ধরছে গাম্বিয়া। শুনানিতে গাম্বিয়ার প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনা হঠাৎ করে সংঘটিত হয়নি। বরং এটি দীর্ঘদিনের একটি পরিকল্পনার ফসল। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় রাখাইনে সুনির্দিষ্ট অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, বিশ্ব কেন এ ধরনের বর্বরতা ঘটে যাওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে? বিশ্বে নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবাইকে অবশ্যই আওয়াজ তোলারও আহ্বান জানায় দেশটি। গাম্বিয়া আশা করে, রোহিঙ্গা শিশুরা অন্যান্য সাধারণ শিশুর মতো বেড়ে উঠবে।
ইসলামি ঐক্য সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে গাম্বিয়ার করা এই মামলাটি নিজ দেশের পক্ষে আদালতে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী বিতর্কিত নেত্রী অং সান সুচি। সু চিকে সাহায্য করতে একদল ‘খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক’ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও কারা এই আইনজীবী কারা- তা খোলাসা করা হয়নি।