December 23, 2024, 7:47 am
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা ওরফে মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। ফলে এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো। বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান এ চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে এ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে, চার্জ গঠনের জন্য এ মামলায় কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়া বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন এ মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। চার্জ গঠন শেষে কারাগারে থাকা আট আসামিকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
যেসব আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯), মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু জানান, দীর্ঘ সময় শুনানি শেষে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মামলার ৩৭ আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত। এছাড়াও সাইমুন নামে এক আসামির জামিনের আবেদন করেছিল তার আইনজীবী তবে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। আর প্রত্যেক আসামির আইনজীবীরা মামলা থেকে তার মক্কেলকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তাও নামঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত বছরের ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র চার্জ গঠনসহ বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। অন্য আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।