October 27, 2024, 8:37 am

সংবাদ শিরোনাম :
খিলক্ষেত কুরাতুলি ট্রাকের বেপরোয়া কান্ডে পুলিশ নিহত  শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা সন্তুষ্ট নয়;সকল অঙ্গ-সঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন

রাজশাহীতে মোবাইল দোকানীকে ছুরিকাঘাত ঘটনায় দুই আসামী কারাগারে।

সোহেল রানা জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার গোরহাঙ্গা এলাকার মোঃ একরামুল হক বাবুর ছেলে এহেসানুল হক আফ্রিদি (২৫) নামের এক মোবাইল দোকানীকে চন্দ্রিমা থানাধীন ভদ্রা জামালপুর মাঝার পাশে তার শরীরের ১৫টি স্থানে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র ছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা। এতে তার শরীরে ১৪১টি সেলাই দিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনার আজ সোমবার আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত মামলার ৩/৪ ও ৫নম্বর আসামী মো:সাহেব (২৭),পিতা: মৃত মুক্তার আলী,সাং হযোর মোড় ,মাইনুল (২৭),পিতা: শানু,সাং চকপাড়া, ও সুজন (২৭)পিতা: মাসুম,সাং : ভদ্রা জামাল পুর সর্ব থানা: চন্দ্রিমা এর জামিন মঞ্জুর করলেও মামলার প্রধান আসামী বিজয় (২৪) ও তার বড়ভাই হৃদয় (২৬) এর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেছেন। বিজয় ও হৃদয় ভদ্রা জামালপুর এলাকার শফিকুলের ছেলে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) মোবাইল ব্যবসার জন্য জরুরী টাকার প্রয়োজন হয় আফ্রিদির। বৃহস্পতিবার সন্ধায় সে তার বোনজামাই সোহেলকে ফোন দিয়ে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানায়। তার বোনজামাই তাকে বাড়ি এসে টাকা নিয়ে যেতে বললে আফ্রিদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার জামালপুর এলাকায় তার বোন-জামাইয়ের কাছে টাকা নিতে আসে। তার বোনজামাই সম্পূর্ণ টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। ১লাখ ১০হাজার দেয় অফ্রিদিকে। বোনের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আফ্রিদি। পথে জামালপুর মাঝারের পাশে ৫/৭জন ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা তার প্যান্টের পকেট থেকে জোর পূর্বক টাকা ছিনতাই করার চেষ্টা করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরই এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাথাড়ী ভাবে পিঠে, ঘাড়ে পায়ে, ও পেটে ১৫টি স্থানে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আফ্রিদি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ছিনতাইকারীরা তার পকেট থেকে নগদ ১লাখ ১০ হাজার টাকা, একটি রেডমি এ্যাড্রয়েড মোবাইল ও তার ব্যবহৃত হাতে থাকা একভরি ৪আনা ওজনের স্বর্ণের ব্রেসলেট ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। আহতের চিৎকার আর মানুষের হৈচৈ শুনে তার বোনজামাই সোহেল ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে তাকে ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার শরীরে ব্যপক রক্তক্ষরন বন্ধে দ্রুত ওটি’তে নেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাত ৩টার পরে আফ্রিদির ওটি সম্পন্ন হয়। গতকাল আহত ব্যবসায়ী আফ্রিদিকে রামেকের ৮নং ওয়ার্ড থেকে রিলিজ করেছেন রামেক হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

এদিকে মোবাইল দোকানীকে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র ছিনতাই মামলাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত ও তাদের ব্যাক্তিগত শত্রুতার কারনে বাদির অজান্তে তালাইমারী এলাকার তালিকাভুক্ত শির্ষ সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,মাদকব্যবসায়ী,বোমাবাজ,অস্ত্রধারী কথিত সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী ও তার শালা এহেসান হাবীবব তারা কৌশলে আহত যুবকের বোনজামাই সোহেল সরদারকে ভুল বুঝিয়ে রাজশাহী তিন সাংবাদিক এর নামেসহ চার জনের নাম এ মামলায় অন্তরভূক্ত করেন। যা সম্পর্কে তারা কোন ভাবেই জড়িত ছিলেন না। ৬নম্বর থেকে ৯নম্বর আসামী যাদের করা হয়েছে তারা হচ্ছেন ৬নং আসামী শিরোইল কলোনি এলাকার জারমান সরদারের ছেলে দৈনিক উপচার পত্রিকা অফিসের অফিস সহকারী সুমন (২৭) ৭নং আসামী করা হয় বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন রেশমপট্টি এলাকার মৃত মোস্তাক হোসেন ডাবলুর ছেলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি সাংবাদিক নেতা মো: নুরে ইসলাম মিলন (৩৬), আলুপট্টি এলাকার আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে দোয়েল টিভির সাংবাদিক গোলাম রশুল রনক(৩৮) ও বালিয়াপুকুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কোববাত হোসেন এর ছেলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাংস্কিৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন বাবুকে। নিজেকে সেয়ানা ভাবা কথিত সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী শুকৌশলে শালা তারাকে দিয়ে চন্দ্রিমা থানায় মামলাটি দায়ের করালেও চন্দ্রিমা থানার ক্যামেরা ও থানার মোড়ে চায়ের দোকানের ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করতে পারেনি এই কথিত সাংবাদিক।

আহত যুবকের বোনজামাই মোঃ সোহেল সরদার জানান, আমার শ্যলককে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা,মোবাইল ও স্বর্ণের ব্রেসলেট ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে আমার পূর্ব পরিচিত সাংবাদিক এহেসান হাবীব তারা যার মোবাইল নম্বর ০১৭১১-১৬৬৯৭৮ এই নম্বারে যোগাযোগ করলে তারা ও তার দুলাভাই মাসুদ রানা রাব্বানী থানার সামনে এসে তারাকে দিয়ে থানায় মামলাটি করান। মামলা হওয়ার পরে মামলার কাগজে আমার শালাকে মারধরকরা ছিনতাইকারীরাসহ আরো চারজনের নাম আছে। যা আমি বা আমার শালা আহত অফ্রিদি দেইনি। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক তারাকে বললে সে বলে এ মামলা এ সকল আসামীদের নামে হয়ে গেছে । এখন এ সকল আসামীর নাম কাটাতে ১০,০০০/ দশ হাজার টাকা লাগবে। পরের দিন ১৫অক্টোবর সাংবাতিক এহেসান হাবীব তারা ৮,০০০/টাকা নেয় এ নামগুলো কাটানোর জন্য তার পরেও নাম কাটাইনি তারা ও তার দুলাভাই রাব্বানী। পরে শুনতে পাই এই চক্রটি র‌্যাব-৫ এর সদস্যদের দিয়ে রাব্বানী ও তারার দেয়া নামীয় আসামীদের আটক করিয়েছে যারা আমার শালাকে হামলা করে ছিনতাই ঘটনায় ছিলেন না। পরে আমি নিজে র‌্যাব-৫ অফিসে গিয়ে আমার জবানবন্দি দিয়ে আসলে র‌্যাব-৫ এর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষগত সাংবাদিকদের এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পাওয়াতে স্ব-সন্মানে ছেড়ে দেন।

এ ব্যপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলী জানান, মোবাইল দোকানীকে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে আমার থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ৬নং আসামী থেকে ৯ নং আসামীরা কোন ভাবেই জড়িত নয়।তালাইমারী এলাকার সাংবাদিক রাব্বানী ও তারাসহ তাদের কয়েকজনের চাপের মুখে এই মামলাটি করতে হয়েছে। মামলার তদন্ত না করতেই র‌্যাব-৫ সাংবাদিক নেতাদের আটক করে আমার থানায় জমা দিতে আসলে তারা এই মামলার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তাদের দেয়া আসামী গ্রহন করিনি বলে জানান তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন