December 22, 2024, 10:07 pm
সমর্থকদের বিশৃঙ্খলায় পিছিয়ে যায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ের ৮২ মিনিট পর শুরু হওয়া আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ার শিরোপার লড়াইয়ে ঘটে অনেক নাটকীয়তা। চোটের কারণ মাঠ ছেড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন লিওনেল মেসি।
বাতিল হয় নিকোলাল গঞ্জালেসের গোল। তবে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্তিনেজের জয়সূচক একমাত্র গোলে হামেস-দিয়াজদের হতাশা ডুবিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপার পাশাপাশি ত্রিমুকুট জিতেছে আর্জেন্টিনা।
স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা তিন মেজর শিরোপা জয়ের রেকর্ড এখন মেসিদের দখলে। ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
কাতারে জেতে বিশ্বকাপ। এবার আবারও জিতল কোপা আমেরিকার ট্রফি। মাঝে ইতালিকে হারিয়ে জিতে ছিল ফিনালেসিমা।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ ছিল আর্জেন্টিনার। তবে দ্রুত আধিপত্য বিস্তার করে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় আর্জেন্টাইন রক্ষণকে চাপে রাখেন হামেস-দিয়াজরা।
প্রথমার্ধে ৫২ শতাংশ বল পজিশন ছিল কলম্বিয়ার দখলে। অন্যদিকে বাকি ৪৮ শতাংশ থাকে মেসি-ডি মারিয়াদের দখলে। গোল পোস্টে শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছিল হামেস-দিয়াজরা।
আর্জেন্টাইনদের পোস্টে ৮টি শট নেয় কলম্বিয়া, এর মধ্যে ৪ গোলটি ছিল গোল পোস্টে। অন্যদিকে মেসি-আলভারেজরা নেন মাত্র ৩টি শট। এর মধ্যে এটি ছিল গোল পোস্টে।
তবে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডান পায়ে চোট পান মেসি। সেই চোট নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ছিলেন তিনি। ৬৩ মিনিটে আবারও মাঠে পড়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় নিকোলাস গঞ্জালেসকে।
ডাগ আউটে বসে কাঁদতে থাকেন মেসি। আর গ্যালারিতে হতাশ আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। পরের মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গঞ্জালো মন্টিয়ালকে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মাঠে না থাকার দারুণ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি কলম্বিয়া।
মাঝে গোলও পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির বদলি হিসেবে খেলতে নামা নিকোলাস গঞ্জালেস কলম্বিয়ার জালে বল জড়ান। তবে তার আগে অফসাইডের পতাকা তোলেন সহকারী রেফারি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ডি বক্সে গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি ডি মারিয়া। আর যোগ করা সময়ে তার ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন নিকোলাস গঞ্জালেস। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ৯৭ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের বদলে মাঠে নামানো হয় লাউতারো মার্তিনেজকে। ম্যাচের ১১২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মাঝমাঠে জিওভান্নি লো সেলসোকে পাস দেন রদ্রিগো ডি পল। লো সেলসো থ্রু পাস দেন মার্তিনেজের উদ্দেশ্যে।
গোলকিপারকে একা পেয়ে ঠান্ডা মাথায় কলম্বিয়ার জালে জড়ান ইন্টার মিলানের তারকা। চলতি আসরে এটি তার ৫ নম্বর গোল। এতে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি।
মেসি উঠে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন ডি মারিয়া। তবে গোল পাওয়ার পর রক্ষণের শক্তি বাড়াতে তাকে তুলে ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্ডিকে মাঠে নামান কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ডাগ আউটে ফিরে কান্নাভেজা চোখে মেসিকে জড়িয়ে ধরে ডি মারিয়া। দীর্ঘ ১৬ বছরের সতীর্থর বিদায়ের আবেগ ছুঁয়ে যায় মেসিকে। দুই মহাতারকা বিদায়ী কান্নার পর আর্জেন্টাইনরা মেতে উঠেন শিরোপা জয়ের উল্লাসে।