December 22, 2024, 10:08 pm
আজ ৩০-০৯-২০২৩ তারিখ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান-এঁর নির্দেশনায় অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর মিরপুর এলাকায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব সোহেল চাকমা।
অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায় প্রিন্স বাজারে আলু ৩৬ টাকা কেজি দরে এবং ডিম প্রতিটি ১১.৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও শাহ আলী মার্কেট এলাকায় আলু ৩৬ -৩৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
অভিযানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করার অপরাধে ১ আড়তদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ ২ আড়তদারের আলু পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
অভিযুক্ত আড়তদার জানান যে, তিনি কমিশনে ব্যাপারীর আলু বিক্রি করেন। উল্লেখ্য ঐ ব্যাপারী রহমত উল্লাহকে মোবাইল ফোনে মুন্সিগঞ্জের হিমাগার থেকে ২৬/২৭ টাকা দরে আলু ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।
বর্তমানে বাজারে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং ডিম ১৪০-১৪৪ টাকা ডজন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭-০৯-২০২৩ তারিখ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত সুপারশপ, পাইকারি বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক আলুর সরকার নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকা দরে কোল্ড স্টোরেজ থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সে প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজ থেকে সুপারশপসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় যার ইতিবাচক ফলাফল আলুর খুচরা পর্যায়ে পড়ছে।
আশা করা যায় অধিদপ্তরের এধরনের পদক্ষেপের ফলে খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।
জনস্বার্থে অধিদপ্তরের এসকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।