October 23, 2024, 3:16 am

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান

মিরপুরে নূর মোহাম্মদের প্রতারণা শিকার ব্যবসায়ী গাজী বাদশা 

গোলাম রাব্বানীঃ রাজধানীর মিরপুরে কোম্পানির মালিক বানানের কথা বলে নিরক্ষর গাজী বাদশার কাছ থেকে প্রায় 14 থেকে 15 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে পাওয়া যায় মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বাদশাহ মিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কাজের অজুহাতে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে।

টুসি বিডি টুসি এন্টারপ্রাইজ ও নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর পরিচালক করার কথা বলে গাজী বাদশা কে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নূর মোহাম্মদ সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় কষ্টে অর্জন করা ক্ষুদে ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া টাকা। অভিযোগকারী বাদশা জানায় পড়াশোনা না জানায় তিনি তাহার নাম কোনমতে লিখতে পারে সেই সুযোগে নূর মোহাম্মদ বাদশা গাজীর টাকা দিয়ে উক্ত অফিস নির্মাণ করে।

যেহেতু সহজ সরল খেটে খাওয়া ক্ষুদে ব্যবসায়ী বাদশা কোম্পানির পরিচালক হবার আশায় অফিসের সকল প্রকার ফার্নিচার এবং কম্পিউটার ইত্যাদি প্রায় ৫ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করে। পরিচালক হবার আশায় বাদশামিয়া নূর মোহাম্মদ এর কথামতো অত্র অফিসের স্টাফদের কয়েক মাসের বেতন দিয়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র জমা করে রিসিভ কপি আনে কিন্তু কোন কাগজপত্রে বাদশার নাম নেই বাদশা মিয়া তাৎক্ষণিক নূর মোহাম্মদ কে প্রতিবাদ স্বরূপ বলে আমার টাকার অফিস সব আপনার নাম করে নিয়েছেন কেন। জবাবে নূর মোহাম্মদ বলে তুমি তো পড়াশোনা জানো না তোমার নামে তাই কোন কাগজপত্র হয়নি। অভিযোগ কারীর কথায় আমি তো পড়াশোনা জানিনা জেনে সত্ত্বেও তুমি আমার টাকা নিয়ে আমাকে পরিচালক বানানোর কথা বলে কোম্পানি করেছ আমাকে অর্ধেক ভাগ দিবে ব্যবসার এই প্রতিশ্রুতিতে তাই আমি তোমাকে টাকা দিয়েছি। এই নিয়ে সৃষ্টি হয় বাদশা ও নূর মোহাম্মদের সাথে বিতর্ক।

বাদশা বলে তাহলে আমার ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা খরচা হয়েছে সেই টাকাগুলো ফেরত দেন। জবাবে নূর মোহাম্মদ বলে তোমাকে কোন টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। এক পর্যায়ে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পেএলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী রেখে বাদশাহ ও নূর মোহাম্মদের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয়। উক্ত চুক্তিনামায় উল্লিখিত তিনটি চেক নাম্বার সহ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন নূর মোহাম্মদ বাদশা কে। চেক নাম্বার সি হাইফেন ৩০৯৫০১১ শহী নং হাইপেন ০১৭০২১০০২৭৫৬৯ ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড মিরপুর ব্রাঞ্চ টুসি এন্টারপ্রাইজ টাকা ২ লক্ষ মাত্র। ১ নং এমসিএইচ হাইপেন ৩ ০ ৩ ০ ৭ ২ ৪ সহ হি নং হাইপেন 20 50 27 40 20 14 92 50 3 ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পল্লবী মিরপুর ব্রাঞ্চ ঢাকা নূর মোহাম্মদ টাকা ২ লক্ষ মাত্র। চেক নং সিবি অবলিক সিডি হাইপেন 90 35 156 সহিনং হাইফেন ১৫০ ২৮৩ ৫২৪ ২০০১ সিটি ব্যাংক লিমিটেড পল্লবী মিরপুর ঢাকা ঢাকা 270000 মাত্র। বর্তমানে কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর এই প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বর্তমানে কর্মরত ২ জন কর্মকর্তা বৃন্দর সাক্ষাৎকারে আমরা একজনার কাছ থেকে জানতে পারি ঘটনার সত্যতা যেখানে উঠে এসেছে নূর মোহাম্মদের প্রতারণার তথ্য। তাই উক্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের অন্যায়কারীকে আইনের আয়তনে সঠিক বিচারের দাবিতে গণমাধ্যম ঘটনাটি সততা যাচাই করে সংবাদ আকারে প্রকাশ করে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন