December 23, 2024, 7:30 am

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে:উত্তরা পূর্ব থানা কর্মিসভায় আমিনুল হক পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাই কর্তৃক জলিল হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাগর (২০) কে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ ও র‍্যাব-৭ লাখো মুসল্লির অশ্রু সজল নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের ইজতেমা কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ICAO CAA Approval of Training Organizations (ATO) Course এর সমাপনী অনুষ্ঠিত খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত ঢাকায় ১৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে দাওয়াতে ইসলামীর ইজতিমা উত্তরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত দক্ষিনখানে রাজউকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করছে মধ্য আজিমপুরের ইসলাম বোখারী রোডে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

মঙ্গলকোট কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে  বাঁশের চারটি অবশেষে মেরামত হলো 

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুরঃ কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে বাঁশের চারটি ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অবশেষে মেরামত হলো। বিষয়টি অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিতে পড়ে। তিনি বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে অবহিত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান এলাকা ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন গোলদারকে চারটি দ্রুত সংস্কারের কথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যানের অর্থায়নে এবং ইউপি এলাকা সদস্যের আন্তরিকতায় কাজটি বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংস্করণ করে মানুষের ভোগান্তি আপাততঃ দূর করেন। এ কাজে বসুন্তিয়া ও পাঁচারই গ্রামের স্বহৃদয় ব্যক্তিরা চারটি মেরামতের জন্য বাঁশ দান করে সহযোগিতা করেছেন।

যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া-পাঁচারই গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে বুড়ি ভদ্রা নদী। এই নদীর ওপর কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে বাঁশ নির্মিত একটি চার দেওয়া আছে যা ইতিমধ্যে একপাশ ভেঙ্গে পড়েছিল। ওই চার দিয়ে সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছিল। কিন্তু তিন/চার মাস আগে থেকে চারটির ভাঙ্গন শুরু হয়ে প্রায় এক মাস আগে এটির উত্তর পাড়ের কিছু অংশ একেবারে ভেঙে পড়েছিল। এতে ওই চার দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা-সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিক্ষার্থীদের দুই/আড়াই কিলোমিটার ঘুরে বড়েঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছিল। তাছাড়া পাঁচারই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফকির বাড়িতে বসে তিন দিনের লোকজ মেলা। মেলাটি ৫ বৈশাখ থেকে ৭/৮ দিন ধরে চলায় প্রচুর লোক এই চার দিয়ে পারাপার হয়।

একসময় নদীর এপার-ওপার যাত্রীদের পারাপার করতো কার্তিক সরকার (পাটনি) গংরা, সে থেকে এই খেয়ায়াঘাটের নামকরণ হয় কার্তিকের খেয়া। তখন নদী ছিল খরস্রোতা, কালের বিবর্তনে পলি পড়ে এখন আর সেই জৌলুশ নেই। এলাকার সচেতন স্বেচ্ছাসেবী মহল নদীর উপর গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের চরাট দ্বারা নির্মিত চার। জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় চারটি এখন সাত গ্রামের মানুষের দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি সরেজমিনে দেখেন, আপার বুড়ীভদ্রা নদীর ওপরে বাঁশের চরাট দ্বারা নির্মিত চারটির উত্তর পাশের কিছু অংশ ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে।

এলকাবাসী জানান, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচারই, বসুন্তিয়া, রামকৃষ্ণপুর, কেদারপুর, পাথরা, চুয়াডাঙ্গা, ঘাঘা গ্রামের মানুষ এই চার দিয়ে চলাচল করেন। ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থলে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মঙ্গলকোট বাজারে এই সকল গ্রামের মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে চার পার হয়ে আসেন। তা ছাড়া পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫/১৬ জন এবং পাঁচারই টি,এস (তরুণ সংঘ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৫/৪০ জন শিক্ষার্থী এই সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতো এখন তাদের দুই/আড়াই কিলোমিটার ঘুরে বড়েঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে কষ্ঠ করে আসতে হবে না। বিদ্যালয় দ’দিন বন্ধ থাকায় রোববার থেকে ঐ বিদ্যালয় দু’টির শিক্ষার্থীরা ওই চার দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এ স্থানে স্থায়ীভাবে চলাচল করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট একটি ব্রীজের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন