October 27, 2024, 12:35 pm

সংবাদ শিরোনাম :
ব্যবসয়ী এম শরীফ উদ্দিনের নামে মিথ্যা মামল প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন কালীগঞ্জে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বাতাসে উঠতি আমন ধানের ক্ষতি  দক্ষিণখানে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান খিলক্ষেত কুরাতুলি ট্রাকের বেপরোয়া কান্ডে পুলিশ নিহত  শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা সন্তুষ্ট নয়;সকল অঙ্গ-সঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি

বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু কাদা ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নে বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু কাদা যাতায়তের চরম দুর্ভোগে পড়া স্থানীয়রা রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের দাবি করেও তা পূরণ না হওয়ায় এ অভিনব প্রতিবাদ।

জনবহুল এলাকার এ রাস্তা হয়ে হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করেন। উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের স্থানীয়রা এ প্রতিবাদ জানান। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের বটতলা মোড় থেকে কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে কালিস্থান বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পথ কাঁচা রাস্তা।

জনবহুল এ তিন কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছে এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বটতলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ রূপে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে দিনভর বৃষ্টিতে। তাই স্থানীয়রা এ কাদাযুক্ত রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়।

লালমনিরহাট জেলার সর্বাধিক সবজি চাষাবাদের এলাকা কমলাবাড়ি।এই এলাকার সবজি লালমনিরহাট জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে সবজি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। সবজি চাষবাদ করে সংসার নির্বাহ করে এ এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ।এ অঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত সবজিসহ সকল কৃষি পণ্য ওই কাঁচা রাস্তা হয়ে লালমনিহাট জেলা সদর, ও জেলার ৫টি উপজেলা সহ ঢাকায় চলে যায়। যে কারণে ওই কাঁচা রাস্তা হয়ে প্রতিদিন ট্রাকসহ শতাধিক ছোট ছোট পন্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারনের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। এই রাস্তা হয়ে যেতে হয় কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদেও।
সবজি চাষি আব্দুল মান্নান বলেন, রাস্তাটি কাদাযুক্ত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে এ অঞ্চলের সবজিসহ সকল কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বর্ষাকালে অনেক গাড়ি মালিক এ অঞ্চলে গাড়ি পাঠাতে চায় না। স্কুলছাত্র বায়েজিদ, জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়া তো দূরের কথা বাজার বা স্কুল কলেজও যাওয়া যায় না। বর্ষাকালে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। তাই কাদাযুক্ত রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, বর্ষাকালে এ রাস্তা হয়ে চলাচল করা যায় না। এক দিনের বৃষ্টিতে গাড়িতে তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাওয়ার সুযোগ নেই। সবজি এলাকা খ্যাত এ অঞ্চলের জনবহুল এ রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন