December 24, 2024, 5:45 pm
ডেক্স রিপোর্ট – ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দো মোদী হুশিয়ারী দিয়েছেন, “সন্ত্রাসীদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন “। সূত্র জানায় , বৃহস্পতিবারের ওই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার, পুলওয়ামায় এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কমান্ডার এ দাবি করেনঅন্যদিকে ,পাকিস্তানে প্রতিশোধমূলক কোনো হামলা হলে, তার পাল্টা জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘বেস্ট টয়লেট পেপার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ লিখে খোঁজ করলে এভাবেই পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা দেখাচ্ছে গুগল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ভারতীয়রাই এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনার আলোকে কমান্ডার কানওয়াল জিৎ সিং বলেন, ‘সন্ত্রাস দমনে আলোচনার সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে উল্লেখ করে যে কোন মূল্যে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে কাশ্মীর হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।’ নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি ও স্থতিশীলতার জন্য জঙ্গীবাদ বড় একটি হুমকি। পুলওয়ামার বর্বরোচিত হামলাই বলে দেয় শুধুমাত্র আলোচনার দিন শেষ। জঙ্গিবাদ ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে এক হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।’ ইমরান খান বলেন, ‘ভারতকে আমি বলব, সব কিছুতে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানো বন্ধ করুন। পাকিস্তানের স্বার্বভৌমত্বে আঘাত হানে এমন কোন কর্মকাণ্ড যদি ভারত পরিচালনা করে তাহলে তার যথোপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’ অপরদিকে , ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরী শিক্ষার্থীদের হেনস্থার প্রতিবাদে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সেখানরা অধিবাসীরা। এ সময় মোদি ও ভারতের সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। কাশ্মীর সংকট সমাধানে পাকিস্তান সফররত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সহযোগিতা কামনা করে বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে বিশ্লেশকরা মনে করেন , ভারত-পাকিস্তানের এই যুদ্ধ নিয়ে ঢাক গুর গুর চলে আসছে অনেক আগে থেকেই । হয়ত যুদ্ধের মত কর্মে তারা জড়াতে চাইবে না । ইটা হতে পারে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ভোটার আনুকূল্য পেতে মোদী এই আওয়াজ দিয়েছেন মাত্র ।