December 22, 2024, 5:19 pm
তাছলিমা তমা ঃ রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন মধ্য আজমপুর মইনুল হক চৌধুরী মার্কেট সংগ্রামী সরণি রোডে চার পাশে জায়গা না ছেড়ে রাজউক অনুমোদিত ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা সুপ্পষ্টভাবে লংঘন করে রাজউক অনুমোদিত নকশা ব্যক্ত করে একটি বহু তল ভবন নির্মাণ করছে মধ্য আজমপুর মইনুল হক চৌধুরী মার্কেট সংগ্রামী সরণি রোডে
ভবন মালিকসূত্রে জানা যায় ভবন মালিক গং নির্মাণের সময় চারপাশে পরিমান মত জায়গা না ছেড়ে ভবনের রাজউক অনুমোদিত নকশা ব্যক্তয় করে প্রতি তালায় প্রায় ৪৬০ স্কয়ার ফিট হারে বর্ধিত করে ভবন নির্মাণ কাজ করছে।
এদিকে ভবন মালিক গং এর সাথে যখন আলাপ করা হয়, তিনি কোন তথ্য দিতে রাজি না, তিনি বলেন এখানে যদি রাজউকের ইন্সপেক্টর আসে তাহলে আমি তথ্য দিব। কন্টাকটার আব্দুল সালাম গং জানায় ভবনটি রাজউকের নকশা ব্যক্ত করে নির্মাণ করেছি।অন্য দিকে জোনাল ইন্সপেক্টর জানায় রাজউকের মোবাইল কোড চলমান আছে, যেকোনো সময় উক্ত ভবনে মোবাইল কোড পরিচালনা করা হবে।
সরজমিন তথ্যসূত্র জানা যায় রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক মহাখালী জোন ২/১ এরিয়াধীন দক্ষিণ খান থানাস্ত মধ্য আজমপুর মুসলিম পাড়ায় সড়কের পাশেই ৭.৫ কাঠা জমিতে রাজউক জোনাল কার্যালয় হতে আবাসিক ভবনের বেজমেন্ট সহ ১০ তালা ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন গ্রহণ এর পর ভবনটি নির্মাণের সময় রাজউকের বিদ্যমান ইমারত নির্মাণ আইন তথা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাড ১৯৫২টাউন ইমপেমেন্ট অ্যষ্ট-১৯৫৩ ও ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ উন্নয়ন সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোট ২০২০/সংশোধনী ইমারত নির্মাণ ২০০৮ এর বিধিমালা সু-স্পষ্ট ভাবে লংঘন করে ভবনটি ৩ তালার ছাদের কাজ শেষ করে ৪ তালার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভবন মালিক গং।
অন্যদিকে জমির আয়তন ৭.৫ কাঠা যাহার স্থায়ী মাপে জমির আয়তন ৫৪০০ স্কয়ার ফিট। বিল্ডিং কোনেস্টেশন আইন ও বিধীমালা অনুযায়ী ৫৪০০ স্কয়ার ফিট আয়তনের জমির মধ্য ১০ তলা অনুমোদনের জন্য সর্বমোট জমি হতে ভবনের চারপাশে জায়গা উন্মুক্ত রাখা এবং ভবনের সামনে সবুজ বনায়নের জন্য জায়গা সহ ম্যাক্সিমাম গ্রাউন ফ্লোর ব্যতীত প্রতি তালায় আয়তন হিসাবে কমপক্ষে প্রায় ১ তলা হতে ১০ তালা পর্যন্ত প্রতি তালার আয়তন সটব্য সহ প্রায় ৩২৪০ স্কয়ার ফিট হারে ভবন নির্মাণের শর্তে জোনাল কার্যালয়ে লিখিতভাবে অঙ্গীকার নামা দিয়ে অনুমোদিত নকশার কপি গ্রহণ করে ভবন মালিক গং।
ভবনের আব্দুল সালাম গং রাজউক জোনাল কার্যালয়ে লিখিত ভাবে দেওয়া অঙ্গীকারনামার শর্ত সমূহ ইস্পষ্ট ভাবে লংঘন করে প্রতি তালায় অনুমোদিত আয়তন সেটব্যাক সহ প্রায় ৩২৪০ স্কয়ার ফিট এর পরিবর্তে প্রতি তলায় আয়তন করেছে প্রায় ৩৭০০ স্কয়ার ফিট করে ভবনটির ৩ তলা পর্যন্ত কাজ করছে। এতে করে ভবনের প্রতি তলায় প্রায় ৪৬০ স্কয়ার ফিট বর্ধিত করা হয়েছে। এ ভবনের মালিক ভবনটি নির্মাণের সময় প্রতি তালায় ৪৬০ স্কয়ার ফিট হারে বেশি করা হলে রাজউককে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ৩ তালা ভবনের প্রায় ১৩৮০ স্কয়ার ফিট বেশি করেছে।গত ০২/১২/২০২৪ ইং তারিখে সরাসরি ভবনের তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তথ্যসম্বলিত সাইনবোর্ড এবং সেফটি নেটের কোন কিছুর দেখা মিলেনি। তবে ভবন মালিক গং। এ সকল তথ্য নিশ্চিত করে বলেন রাজউক জোনাল কার্যালয় হতে উক্ত ভবনটি পরিদর্শনের জন্য একাধিকবার ইমারত পরিদর্শক এসেছিলেন, কিন্তু ভবন মালিক গং বলেন ইমারত পরিদর্শক এখানে এসে ভবনের চারপাশ মেপে নকশা নিয়ে জোনাল অফিসে দেখা করতে বলেন।গত ০৬/১২/২০২৪ ইং তারিখে এর সাথে কথা বলে সে জানায় ভবনটি নির্মাণের সময় রাজউকের নকশা ব্যত্যয় করে নির্মাণ করায় বর্তমানে খুব বিপদে আছি। আমি কি করবো। রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি করলে কেউ বাড়ি তৈরি করতে পারবে না। তবে চেষ্টা করতেছি এ বিষয়ে সমাধানের, দেখা যাক কি হয়। সাংবাদিকরা নিউজ করলে কিছু হয় না, এখন আমার দল বিএনপি ক্ষমতায় আছে। এ এলাকার ইন্সপেক্টর এর সাথে আমার ওঠাবসা আছে সে বলেছে কোন সমস্যা নেই আমি আছি বিল্ডিং করেন, আপনি নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কিনা এমনটাই জানায় আব্দুল সালাম গং।