December 23, 2024, 11:58 pm
দুর্নীতি রিপোর্ট ডেক্সঃরবিবার (০৬ আগস্ট) ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন অভিযানে আটটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৯ মামলায় মোট ০৫ লাখ ৭২ হাজার ০৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই অভিযান পুরো আগস্ট মাস জুড়ে চলবে।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ০২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেঃ জেনাঃ মুহঃ আমিরুল ইসলাম।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন মিরপুর পাইকপাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৭০টি নির্মানাধীন ভবন, বাসাবাড়ী পরিদর্শন করা হয়েছে। ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের ২ টি মামলায় ০২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-০৩ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বুক বিতরণ করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ০১টি মামলায় ১০ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৪০নম্বর ওয়ার্ডস্থ ওয়াজ উদ্দিন রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেঃ জেনাঃ এ.কে.এম শফিকুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে: কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।