October 26, 2024, 4:34 am
স্টাফ রিপোর্টারঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১.২৯৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০২টি কাঠের নৌকাসহ ০৩ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করতে হয়েছে।
অদ্য ১৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত জালিয়ারদ্বীপ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত অপারেশন অফিসার এর নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ০০৩৪ ঘটিকায় টহলদল ৮-১০ জন ব্যক্তিকে দুইটি কাঠের নৌকাযোগে মায়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপের দিকে আসতে দেখে। নৌকাদুটি শূন্য রেখা অতিক্রম করে জালিয়ারদ্বীপের কাছে আসলে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি নৌ টহলদল বর্ণিত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে দু’টি নৌকায় আরোহিত মাদক পাচারকারীরা নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে মায়ানমারের লালদ্বীপ এর দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল ০৩ জন মাদক পাচারকারীকে দু’টি নৌকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত মাদক কারবারীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নৌকার পাটাতনের নিচ হতে একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ১.২৯৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলোঃ (ক) মোঃ সাকের (২২), পিতা-মোহাম্মদ হোসাইন, ৩ নম্বর কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-ডি/২৩। (খ) মোঃ জাবের (১৯), পিতা-আবু সিদ্দিক, ১২ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-জি/৬ এবং (গ) মোহাম্মদ ইউনুস (২৩), পিতা-হাছন, গ্রাম-মংডু শিকদারপাড়া, থানা+জেলা-মংডু, মায়ানমার।
উল্লেখ্য, আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কাঠের নৌকাসহ অবৈধভাবে মাদক বহন ও পাচারের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।