December 23, 2024, 4:05 am
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গতকাল ৬ই জুলাই গাজীপুর সদর থানার ২১নং ওয়ার্ডের বাউপাড়া গ্রামের সোলাইমানের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৬) গাজীপুরে মশিউর রহমান এর নির্মানাধীন ভবনের বেইজমেন্টের পানি ভর্তি গভীর গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে মেয়ের পিতা সোলাইমান বলেন আমার মেয়ে ৫ই জুলাই শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। বিকাল সারে ৫টা থেকে অনেক খোজাখুজির পরও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। শনিবার ভোর ৬টায় আমার মেয়ের মৃত লাশটি ভেসে মশিউরের নির্মানাধীন ভবনের বেইজমেন্টের গর্তের মধ্যে পাওয়া যায়।
খোজ নিয়ে জানাযায়, নির্মানাধীন ভবনের কাজ চলমান ছিল কিন্তু বেইজমেন্টের গর্তটি
দীর্ঘদিন অরক্ষিত ছিল। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই গর্তটি কয়েক মাস ফেলে রাখা হয়। মশিউর রহমানকে বহুবার নিষেধ করার পরেও সে গর্তটি অরক্ষিত রাখে! আল আমিন নামে (২৭) এক ব্যক্তি বলে মশিউর রহমান এর বাড়ির পাশেই আমার বাসা আমার একটি ২বছরের কন্যা শিশু আছে। আমি মশিউরকে কয়েকদিন আগে বলেছিলাম এই গর্তটি যেন অরক্ষিত না রাখা হয়! এভাবে ফেলে রাখলে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি খেলতে গিয়ে আমার সন্তান পানি ভর্তি গর্তে পড়ে মারাও যেতে পারে। কিন্তু সে আমার কথার কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি। আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন বলেন, আমি এলাকার মুরুব্বি সকলেই আমাকে সম্মান করে থাকে আমি মশিউর রহমানকে বলেছিলাম গর্তটি যেন এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা না হয়! পানি ভর্তি গর্তে যে কেউ মরতে পারে এখানে অনেক বাচ্চারা খেলতে আসে। কিন্তু আমি বলার পরেও সে আমার কথার কোনো তোয়াক্কা করেনি! অদ্যাবধি এই শিশুটির মৃত্যুর পরেও সে সমেবেদনাতো দুরের কথা কোন খোজ নিতেও আসেনি! আব্দুর রাজ্জাক সাহেব বলেন আর কতজন শিশুর মৃত্যু হলে মশিউর আমাদের কথা শুনবে! এব্যাপারে গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন তদন্ত চলছে এবং শিশুর দেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যালে ময়নাতদন্ত চলছে ফাইনাল রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!