December 24, 2024, 5:51 pm
তামান্না আক্তারঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সব সময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই পর্যন্ত র্যাব বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী মাদক উদ্ধার করে জনমনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। “চলো যায় যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে ”এই স্লোগানে উজ্জ¦ীবিত হয়ে র্যাব ফোর্সেস মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। র্যাব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ যাবৎ র্যাব-১ অসংখ্য সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে এবং মাদক কারবারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
অদ্য ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ১৯৫০ ঘটিকায় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে গাজীপুর হয়ে রাজশাহী জেলার দিকে যাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি জিএমপি, গাজীপুর সদর থানাধীন পোড়াবাড়ী সাকিনস্থ উত্তর সালনা কাটার মাথায় নিউ জুবায়ের হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট এর সামনে ময়মনসিংহ টু ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর অভিযান পরিচালনা করে বড় মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আবুল বাশার(৩৯) পিতা-মোঃ চারু মিয়া, সাং-বায়েক, উত্তরপাড়া, পো-সালদানদী, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাডিয়া এবং মাদক বহানকারী মোঃ রাহিম মোল্লা(২০)পিতা-মোঃ শাহাজান মোল্লা, মাতা-মোছাঃ আলেকা বেগম, সাং-বায়েক, উত্তরপাড়া, পো-সালদানদী, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া দ্বয়’কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ১০৬ কেজি গাঁজা (যার অর্থমূল্য ১৫,৯০,০০০ টাকা), ০১টি প্রাইভেটকার, ০৪টি মোবাইল ফোন, ০১টি হেডফোন, ০১টি হাতঘড়ি এবং নগদ ১১৯৭০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্ত এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। আসামী বিভিন্ন সময় সুকৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে রাজধানী ঢাকা এবং গাজীপুর’সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করেছে মর্মে স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।