December 22, 2024, 10:18 pm
নঈমুল আলমঃ খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজিব পরিবহনের ম্যানেজারসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত গভীর রাতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।তারা হলেন- রাজিব পরিবহনের ম্যানেজার ইমরান হোসেন ও এম জামান পরিবহনের চালক আল আমীন।এদিকে সকাল থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজিব পরিবহনে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন।
পরে তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে টার্মিনালে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে টার্মিনালে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা টার্মিনাল মোড় অবরোধ করে রাখেন।
রাত পৌনে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহিবুল্লাহ মুহিব বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনের একটি বাসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে আসন না দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাস শ্রমিকরা।
বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস শ্রমিকদের মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় পরিবহন শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুস সাদাত বলেন, শ্রমিকদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মামলা করা হবে।