December 22, 2024, 10:40 pm
নঈমুল আলমঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাসযোগে গোপালগঞ্জ থেকে আসা খুলনা খুবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভাড়া ও সিট নিয়ে বাগবিতণ্ডা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া ও মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বুধবার (৪ ডিসেম্বর) টার্মিনালে গেলে এই ঘটনা ঘটে।সন্ধ্যায় ঘটনা শুরু হলে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনের একটি বাসে খুলনায় আসেন। বাসে ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায়
বাগবিতণ্ডার কারণে বাস শ্রমিকরা তাকে জিরো পয়েন্ট না নামিয়ে সোনাডাঙ্গায় নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাস টার্মিনালে আসেন। এ সময় শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলে। এরপর অন্য ছাত্ররা এসে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে। এ সময় ছাত্ররা বাস টার্মিনালে অবরোধ করেন।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহিবুল্লাহ মুহিব জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনের বাসে করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানান। তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। সেখানে বাগবিতণ্ডার জেরে পরিবহন শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান।তিনি বলেন, এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হয়। এ সময় দুই শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় আসেন। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে মারধর করেছেন মোটর শ্রমিকরা। ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের খবর শুনে সোনাডাঙ্গা ছবি তুলতে যাই সন্ধ্যায়। ছবি তুলছি দেখে ছাত্ররা লাঠি হাতে আমাকে ঘিরে ধরে। ধাক্কাধাক্কি, ঘুষি ও লাথি মারে। আমার ক্যামেরা নিতে গেলে আমি ক্যামেরা ধরে থাকি। সে সময় আমার পকেট থেকে মোবাইলটি নিয়ে যায়। কেউ একজন লাথি মারলে আমি পড়ে যাই। কয়েকজন ছাত্র আমাকে চিনে সেভ করে দ্রুত যেতে বলে।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বলেন, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাকে পরিবহনের সদস্যরা বসার সিট দেয়নি। পরিবহনের সদস্যরা তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে মারধর করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের থামানোর সকল চেষ্টা করা হয়।