November 13, 2024, 6:25 am
আব্দুল্লাহ আল কাউছারঃ বয়রা হাউজিং এস্টেট এলাকার গৃহবধূ ও কলেজ ছাত্রী আঁখি আলম টুম্পার মৃত্যু রহস্যময় জালের সৃষ্টি হয়েছে টুম্পার পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে করা হয়েছে ! তবে আত্মগোপনে থাকা স্বামীর দাবি টুম্পা আত্মহত্যা করেছে ;গত শনিবার ২রা নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে আখি আলম টুম্পা ২২ নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী আরমান হোসেন দ্বীপ! এ ঘটনায় টুম্পার মা রাবেয়া বাদি হয়ে নগরীর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় কয়রা উপজেলার আটরা গ্রামের সুরাত আলম ও রাবেয়া দম্পতির বড় মেয়ে! কয়রা বাজারে তাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে!কয়রার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি! উচ্চ শিক্ষার জন্য খুলনায় চলে আসেন তিনি! ২০২২ সালে খুলনার বয়রা সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হন তিনি! খুলনার বয়রা এলাকার একটি ম্যাচে থাকতেন! টুম্পা বাড়ি থেকে যে টাকা দেওয়া হতো তা দিয়ে দিন কাটানো খুব কষ্ট ছিল নিজে চলার জন্য প্রথমে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন!গতবছরের ২৩ শে অক্টোবর নুরনগর বিশ্বাস পাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে আরমান হোসেন দ্বীপের সাথে তার পরিচয় হয়! এক পর্যায়ে তাদের পরিচয় গভীর সম্পর্কে পরিণত হয়!
একসময় দুজনে বিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়! এবছরের ২৭শে জুন তারা বিয়ে করে বয়রা হাউজিং স্টেট এলাকায় পুলিশের টিআই আবুল বাশারের ছয়তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে থাকেন !
এই বাসায় মৃত্যু হয় টুম্পার! টুম্পার মৃত্যুর সম্পর্কে আরমান হোসেন দ্বীপের ভাষ্য পুরাতক থাকা দ্বীপের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ দাতা কে বলেন মা বাবার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে! এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করে বলেন তার আগেও একটি বিয়ে আছে সে ঘরে দুটি সন্তান আছে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটি প্রথম স্ত্রীর জেনে বিষয়টি মেনে নিয়েছে! দুই দুই স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য না হয় সেজন্য তিনি বয়রা হাউজিং স্টেট এলাকায় বাসা ভাড়া করে টুম্পাকে নিয়ে বসবাস করতেন! গত ২৭ এ অক্টোবর টুম্পার মা রাবেয়া বেগম তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ছোট বোনের মেসে থেকে একটি ছেলেকে নিয়ে আসেন!সে বিয়ের জন্য রাজি হয়নি টুম্পা তাদের সকলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়! পরের দিন আটাশো অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বীপের হাত থেকে একটি দামি মোবাইল ভেঙে ফেলে! এতে রাগ হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় দীপ আর কোন যোগাযোগ রাখে না টুম্পার সাথে! আত্মহত্যার আগে দোসরা নাম্বার রাতে দুধকে খুঁজে বার্তা দিতে থাকে টুম্পা এরপর দীর্ঘ সময় যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ওই রাতে ঘিরে ঘরে গিয়ে দেখে ফ্যানের বুকের সাথে ওড়না পিছিয়ে ঝুলে আছে টুম্পা! পরে কেচে দিয়ে ওড়না কেটে নিচে নামানো হয় টুম্পাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রথমে আর দ্বীন হাসপাতালে এম্বুলেন্স এর জন্য ফোন দেওয়া হয়! পরে ৯৯৯ ফোন করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়! সেখানকার পত্র চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করলে মানুষের কথার ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান দিপ!তিনি আরো বলেন অপরাধি হলে ফোন বন্ধ করে রাখতাম! আইনজীবীদের পরামর্শে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে এই সংবাদদাতাদেরকে জানিয়েছে!! মৃত্যুর সম্পর্কে পুলিশের বক্তব্য সংবাদ পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ তো কর্মকর্তা মিলন এ সংবাদদাতা কে জানিয়েছেন টুম্পার মা প্রথমে লাশ গ্রহন করতে চান নাই!পরবর্তীতে তার মা বাধিয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং ৪ ধারা ৯ক ৩০!তিনি আরো বলেন মরদের সেরা রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা! আসামি আরমান হুসেন দ্বীপকে ধরার জন্য অভিযান চলমান! এদিকে টুম্পার লাশের সুরত হাল রিপোর্ট করার থানার এসআই শিল্পী আক্তার সংবাদদাতাদেরকে বলেন! মৃতের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে! সেটা অনেকদিন আগের এবং গলায় অর্ধচিহ্ন আকৃতির একটা দাগ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন খালিশপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান সত্য ঘটনা উদঘাটনে আমরা জোট তদন্ত শুরু করেছি ময়নাতদন্তের ভিশারা রিপোর্ট হাতে আসলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু!