December 23, 2024, 3:19 am
নঈমুল আলমঃ গ্রামাঞ্চলে প্রকৃতিতে শীত পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে ফসলের মাঠে মাঠে টাটকা সবজির সমারোহ দেখা যাচ্ছে। বাজারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সবধরনের সবজি।তবে নগরীর দোকানগুলোতে সবজির সরবরাহ থাকলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম। একমাসের ব্যবধানে বেসামাল হয়ে উঠছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জিনিসের মূল্য। ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি।পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমালেও এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না কোনোভাবে। নাগালের বাইরে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম খুলনার বাজারে শীতের সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, শাতকালীন শিম ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, টমোটো ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ একমাস আগে নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে।কোনোভাবে কমছে না ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।নগরীর অ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা মো. জাহিরুল ইসলাম বলেন, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নেই। বাজারে অভিযান হলেও দাম কমছে না। অসাধু ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় সব ধরনের সবজির দাম ইচ্ছামত বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন।
অপর দিকে, নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে শেরে বাংলা রোডস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এখন শীত মৌসুম। বাজারে সবজির অনেক সরবরাহ। সবধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের জন্য সবজির দাম না কমিয়ে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।তিনি বলেন, বাজারে বেশি করে মোবাইল কোর্ট চালাতে হবে। তাহলে হয়তো দাম অনেকটা নেমে আসবে।