November 13, 2024, 6:28 am
নঈমুল আলমঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে জনগণ কী চায়। রাজনৈতিক দলকে আলাদা আলাদা ভাগ করার দরকার নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে হবে, তাদের সহযোগিতা নিতে হবে। তা না হলে আপনারা এই মাজা ভাঙা প্রশাসন দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না। আমরা বিদায়বেলায় বর্তমান উপদেষ্টামন্ডলীকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় দিতে চাই। অন্য কোনো পথে হোক এটা আমরা আশা করি না।শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দু-একটি রাজনৈতিক দল জীবনেও ক্ষমতায় আসবে না। আসলেও কারো পিছে পিছে আসতে পারে। তারা মনে করে ক্ষমতায় এসে গেছে। অফিসে আদালতে এখানে সেখানে পোস্টিং-ট্রান্সফার নিয়ে এতো ব্যস্ত, ওরে বাপরে বাপ। আবার নানা ধরনের কথা বলে, নো নো। আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করবো। একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এর বেশি আমাদের কোনো কথা নেই। পরিবর্তন আছে, সংস্কার আছে সব কিছুর সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু একটি নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধানের কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কথা একটু কমই বলেন। তার আশেপাশে দু-একজন আছে বেশি লাফান এবং জনগণের মধ্যে বেশি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। ভাবখানা এমন, তারা হাসিনারে তাড়িয়েছে, আর আমরা শেখ হাসিনার পাকা চুলে কলপ লাগিয়েছি। ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল এরাই ধ্বংস করে দেবে। কারণ তাদের জীবনে রাষ্ট্র চালানোর অভিজ্ঞতা নেই, রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই, ঘুম থেকে উঠেছে আর উপদেষ্টা হয়ে গেছে। আর আবোল তাবোল কথা বলে, কটাক্ষ করে আমাদের। আমরা ১৬ বছর কী করেছি- শেখ হাসিনার মাথায় বাতাস করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় মরা মানুষ ভোট দিয়েছে, কিন্তু জীবিত মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছি, জেল খেটেছি।সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ফকরুল আলম, শেখ আবু হোসেন বাবু, চৌধুরী নাজমুল হুদা সাগর প্রমুখ।সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি রয়্যাল মোড় ঘুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।