November 14, 2024, 6:38 am

সংবাদ শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পুলিশের মাসিক কল্যান সভা অনুষ্ঠিত দালাল শূণ্য রুপে দেখা যায় মিরপুর বিআরটিএ কার্যক্রম সার্কেল-১ এর কয়রা উপজেলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর কয়লা লঞ্চঘাটের সড়কটির বেহাল অবস্থা ডিএনসিসির অভিযানে এবার শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ আদিতমারীতে ২৫০বোতল ফেনসেডিলসহ নার্গিস আক্তার গ্রেফতার পাইগাছায় হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  কয়রা আবারও একটি মিললো অজগর সাপ অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের কপালে দুঃখ আছে রামপুরার একটি বাসা থেকে স্বামী স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার কয়রা প্রেসক্লাবে মিথ‍্যা মামলা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কয়রা উপজেলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর কয়লা লঞ্চঘাটের সড়কটির বেহাল অবস্থা

আব্দুল্লাহ আল কাওছারঃ খুলনার কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর কয়রা লঞ্চঘাট থেকে কয়রা শাকবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিমুখে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে। তবে রাস্তায় ইটের খোয়া ফেলে প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা হয়ে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছ‌রে গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে এ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।

এ পরিস্থিতিতে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। খানাখন্দ সংস্কার করে সড়কটি নতুন করে কার্পেটিং করার জন্য বরাদ্দ হয় ৮১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২ টাকা। কাজের দরপত্র পায় মেসার্স জয় মা ট্রের্ডাস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২২ সালের মে মাসের প্রথম দিকে তারা কাজ শুরু করে। কাজের শুরু থেকে রাস্তা খুঁড়ে ইটের খোয়া ফেলার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ ফেলে চলে যান। তবে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেই ঠিকাদার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজটি অনুমানিক ২ কিলোমিটারের মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের নামে পুরোনো সড়কটি খুঁড়ে কেবল ইটের খোয়া ফেলে রেখে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার কারণে সেসব খোয়াও সরে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে পানি জমে থাকে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে চলছে।

৬ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল হাসান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের উপজেলা সদরে যেতে হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তবে সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তা মেরামতের কাজটি বন্ধ থাকায় গ্রামের লোকজনের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, সংস্কার কাজ শুরুর আগে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারতাম। সামনে শুকনো মৌসুম আসছে। এখন এ রাস্তায় চলাচল করতেই কষ্ট। সামনে যে কীভাবে চলববে মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন