December 23, 2024, 9:03 am
পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোরঃ কেশবপুরের মঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড থেকে চুকনগর অভিমুখে ১’শ মিটার দূরে সড়ক দূর্ঘটনায় শুশীলা রায় (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শুশীলা রায় বসুন্তিয়া গ্রামের মৃত সুনীল রায়ের স্ত্রী ও মঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড বাজারের ব্যবসাযী গোবিন্দ রায়ের মা। কেশবপুর থানার এস,আই জুয়েল এবং খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি শওকত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত্যু নিশ্চিতকরণের সার্টিফিকেট গ্রহনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি না থাকায় দাহ করার অনুমতি দেন। পিকআপটি খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে। তাকে বসুন্তিয়া মহাশ্মশানে দাহ করা হয়।
পারবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন তিনি কেশবপুর- চুকনগর হাইওয়ে রোডের বাম পাশ দিয়ে কিছু দূর চুকনগর অভিমুখে যান এবং ফিরে আসেন। শণিবার সকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে ফেরার পথে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কাছাকাছি ফিরে আসলে চুকনগরগামী একটি পিকআপ ঢাকা মেট্রো.ড-১১-৮২৭৭ সামনের দিক থেকে ধাক্কা দিলে কাঠের গুড়ির উপর পড়ে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় এবং গাড়িটাও কাঠের গুড়িতে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। কেশবপুর থানার এস,আই জুয়েল এবং খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত্যু নিশ্চিত সার্টিফিকেট গ্রহন করা হয়। মৃতার ছেলে-মেয়েদের কোন আপত্তি না থাকায় দাহ করার অনৃমতি দেন হাইওয়ে পুলিশের ওসি শওকত হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ হালদার, হিজলডাঙ্গা কলেজের অধ্যাপক দীনেশ দেবনাথ ও এলাকা ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামসহ শত শত মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। মায়ের মৃত্যুতে ছেলে-মেয়েদের আহাজারি করতে দেখা যায়।