December 22, 2024, 10:06 pm
মুহাম্মদ ইমাম হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে একসাথে কাজ করতে দেশের সকলকে আহবান জানিয়েছন কুমিল্লা জেলার টানা ৩ বছরধরে দ্বিতীয়স্থন অর্জনকারী সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ফারজানা আফরিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) তিনি সাংবাদিকদের বলেন
ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি লক্ষ্য। এর মানে আমরা আরও কম্পিউটার ব্যবহার করব এবং সবকিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এতে আমাদের দেশের অনেক উপকার হবে। একটি বড় সুবিধা হল যে এটি জিনিসগুলিকে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহি করার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করবে।ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের ব্যবসা, রাজনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অন্যান্য দেশের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করবে। এটা আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। ডিজিটাল হলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্যের মতো প্রতিটি সেক্টর উপকৃত হবে।
এ জন্য সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, কম্পিউটার সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আমাদের একটি ভালো বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। সারাদেশে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে কম্পিউটার ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত এবং প্রত্যেকের ডিজিটাল পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস থাকা উচিত। স্কুলগুলিতে, শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারে সহজে অ্যাক্সেস থাকা উচিত যাতে তারা শিখতে পারে।ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে আগামী এক দশকের মধ্যে এটি আমাদেরকে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে সাহায্য করবে। এটি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করবে এবং আমাদের দেশকে আরও উন্নত করবে। আমরা বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সহজেই সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হব এবং আমাদের সমাজের অনেক দিক উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারব। আসুন ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে একসাথে কাজ করি ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণকে বোঝায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটির মূল বিষয় হলো সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার দেশের শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য মোচনের ব্যবস্থা করা। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার চারটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে, সেগুলো হল: মানব সম্পদ উন্নয়ন, জনগণের সম্পৃক্ততা, সিভিল সার্ভিস এবং দৈনন্দিন জীবনের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।