October 26, 2024, 10:34 pm

সংবাদ শিরোনাম :
শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা সন্তুষ্ট নয়;সকল অঙ্গ-সঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি  

আক্কাস কে সমর্থন দিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সদস‍্য বাঘায় জনতার ঢল। 

সোহেল রানা জেলা প্রতিনিধি রাজশাহীঃ আসন্ন বাঘা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী

যারা ছিলেন তাদের মধ‍্যে অন‍্যতম সাবেক মেয়র ও রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সদস‍্য আক্কাস আলী। কিন্তু তার নাম কেন্দ্রে না পাঠিয়ে তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় তৃনমুল আওয়ামীলীগে ব‍্যাপক ক্ষোভের সৃস্টি হয়। ঢাকা থেকে বাঘায় আগমন উপলক্ষে তাকে বরন করতে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। সবার দাবি একটাই, দল মনোনয়ন বঞ্চিত করলেও আমরা সাধারণ জনতা আমাদের প্রানের নেতাকে মনোনীত করছি। আমরা নির্বাচনে প্রমান করে দেব, আক্কাস জনতার নেতা, আক্কাস মাটি ও মানুষের নেতা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে বাঘায় আসলে এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় পৌর নির্বাচনে সতন্ত্র পদে (মেয়র) আক্কাস আলীকে সমর্থন জানাতে উপজেলার বাঘা বাজার থেকে চন্ডিপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগণের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি লক্ষ‍্য করা যায়। রাস্তায় নামে জনতার ঢল। পথের মাঝেও হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ‍্যে আক্কাস আলী এক সংক্ষিপ্ত বক্তব‍্যে বলেন, আপনারা জানেন ছাত্রজীবন থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। আমার নেতৃত্বে এই জনপদের মানুষ আমাকে বারবার নেতৃত্বের রায় দিয়েছেন। আমি ১৯৮৩ সালে কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৮৭ সালে শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ (বর্তমান সরকারি ) ছাত্রলীগ- সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯০ সালে আমি শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ভি.পি পদে (আক্কাছ শৈলেন পরিষদ) ছাত্রলীগ-এর পূর্ণপ্যানেলে বিজয়ী হই। এছাড়াও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের (১৯৯২) সহ-সভাপতি ছিলাম। আমি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৯ সালে আমি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনোনীত হই।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের রায়ে দীর্ঘ ২৪ বছর জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দুই- দুইবার (১৯৯১-১৯৯৬) তৎকালীন বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব‍্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। আপনারা দেখেছেন, আমার নেতৃত্বের অবসান ঘটাতে বারবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হয়। যার প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন এই পৌরভার প্রথম নির্বাচনে। আমাকে বিজয়ী ঘোষনার পরেও ষড়যন্ত্রের মাধ‍্যমে মাত্র কয়েক ভোটে আমাকে পরাজিত ঘোষনা করা হয়। এরপর ২০০৬ সালের পৌর নির্বাচনে জনগন সোচ্চার থাকাই সেইবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ব‍্যার্থ হয়। আমি বিপুল ভোটের ব‍্যবধানে তৎকালীন বিএনপি জামাত সমর্থিত মেয়র আব্দুর রাজ্জাককে পরাজিত করে বিজয়ী হই। মেয়র হয়ে এই পৌরসভার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি।রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ছিলো দৃশ‍্যমান। আমার মাধ‍্যমেই এই পৌরসভার তৃতীয় শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় এরপর প্রথম শ্রেনী মর্যাদায় রুপান্তরিত হয়। এরপর ২০১৭ সালের নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ শাহরিয়ার আলমের পরোক্ষ সহযোগিতায় সেই জামায়াত বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বিজয়ী হয় । শুধু আমাকেই না, তাঁর নিজের পছন্দের না হওয়ার সুবাদে তিনি চারঘাট পৌরসভায় নারগিসকে হারাতে বিএনপির বিপুলকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেন। যার ফলে সেইদিন নৌকার ভরাডুবি হয়েছিল। তাঁর মদদেই গত বছর আড়ানী পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর লজ্জা জনক পরাজয় ঘটে। যার প্রমাণ হিসেবে আপনারা দেখেছেন, আড়ানি পৌর নির্বাচনে শাহরিয়ার আলমের ভোটকেন্দ্রে বিগত দিনে নৌকা ৭০০/৮০০ ভোট পেলেও মেয়র প্রার্থী সাইদ পেয়েছিলেন মাত্র ৭২টি ভোট। এমনি ভাবেই তিনি তার আধিপত্য বিস্তারে প্রয়োজনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নিজের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে দ্বিধা করেন না। শুধু তাইনা, গত ২১শে মার্চ দলের কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় আমার ও আমার অনুসারিদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের মারধরসহ মিথ‍্যা মামলা দিয়েছেন।

সবশেষে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার অহংকার। আগামী ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে সকলের ভোট প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাকে রায় দেবেন আমি আপনাদের আধুনিক মডেল পৌরসভা উপহার দেব। সেইসাথে অতীতের মতোই আপনাদের সুখে দুখে পাশে থাকব।

এসময় অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা উপজেলার আওয়ামীলীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা- কর্মীবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন